আতিকের নির্বাচনী সভায় এমপি সাদেক খান

শেয়ার বিজ ডেস্ক : নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, মন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাতে বা নির্বাচনের কোনো কাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না। তবে সে বিধি ভঙ্গ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের নির্বাচনী প্রচারে যান ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান। যদিও সভায় গিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে ফিরে যান তিনি।

গতকাল আগারগাঁওয়ের শতদল কমপ্লেক্স মাঠে আতিকের নির্বাচনী সভা ছিল। বেলা ১১টায় সেখানে প্রার্থীর উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তিনি আসেননি। এর মধ্যে সাড়ে ১১টার দিকে সভাস্থলে উপস্থিত হন ওই এলাকার সংসদ সদস্য সাদেক খান। এসে সভামঞ্চে বসেন তিনি।

নির্বাচনী আচরণ বিধিতে সংসদ সদস্যদের কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় অংশগ্রহণে বিধি-নিষেধের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সাদেক খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এমনিতেই এসেছি। একটু পরে চলে যাব। নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেব না।’ এর পরপর সভাস্থল ত্যাগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম বলেন, ‘বিষয়টি আমি এখনও জানি না। একজন সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি তো এটা পারেন না। যদি তিনি সেখানে অংশ নিয়ে থাকেন তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’ সূত্র: বিডি নিউজ।

এদিকে দুপুরে তালতলার শতদল মাঠে ওই সভায় নৌকার প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেন, অল্প সময় মেয়রের দায়িত্ব পালনকালেই তিনি কীভাবে একটি আধুনিক ঢাকা গড়া যায় সে বিষয়ে শিখেছেন। তিনি বলেন, ‘৯ মাস আমি একটি কঠিন অনুশীলন করেছি। আমি চেষ্টা করেছি, কীভাবে এ শহরকে একটি আধুনিক, সুস্থ ও সচল শহর করা যায়। কালসী খালের জলাবদ্ধতা এখন আর নেই। আমাদের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ৩০ জানুয়ারির নির্বাচন। এজন্য আমি অনুরোধ করব এলাকাবাসীকে আপনারা সবার দ্বারে দ্বারে যান। সবাইকে উন্নয়নের কথা বলুন।’

নির্বাচিত হলে তরুণদের মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে নানা উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় খোলা জায়গা, খেলার মাঠ তৈরি করছি। কারণ যত বেশি খেলার মাঠ থাকবে, তরুণরা খেলাধুলা করতে পারবে, সমাজ মাদকমুক্ত হবে। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।’

মেয়র নির্বাচিত হলে নিজের ছাড়াও কাউন্সিলরদের সম্পদের হিসাবের বিবরণ জনগণের সামনে প্রকাশ করার অঙ্গীকার করেন গার্মেন্ট ব্যবসায়ী আতিক। এছাড়া প্রতি মাসে একটি করে ‘সিটি হল মিটিং’ করার কথাও বলেন নৌকার প্রার্থী।

আতিক বলেন, ‘আমরা যেন জনবিচ্ছিন্ন না হয়ে যাই, এজন্য প্রতি মাসে মাসে চেষ্টা করব একটা সিটি হল মিটিং করার জন্য। সেই মিটিং হবে জবাবদিহির মিটিং। এতে বিভিন্ন ওয়ার্ডের সমস্যাগুলো প্রতিফলিত হবে। আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারব। আমরা চাই ওয়ার্ডভিত্তিক সমস্যা সমাধান করতে।’

শতদল কমপ্লেক্সের সভা শেষে ঢাকা ১৩ আসনের ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন আতিকুল ইসলাম। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০