নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ এলাকার ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ী শাহ জামাল। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ব্যবসার প্রয়োজন বাকিতে পণ্য কিনতেন। কিন্তু বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতেন না। পাওনা না দিতে দীর্ঘ সময় ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শাহ জামালকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকা বকেয়া পাওনার বিপরীতে ১৯টি মামলায় গ্রেপ্তার পরোয়ানা রয়েছে।
কোতোয়ালি থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খাতুনগঞ্জ এলাকার ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ী শাহ জামাল। তিনি খাতুনগঞ্জ শেখ মার্কেটের মেসার্স শাহ জামালের স্বত্বাধিকারী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালে ১৬টি সিআর পরোয়ানা মূলে গ্রেপ্তার করা হলেও জামিনে বের হয়ে আত্মগোপন করেন। যদিও বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে তিনি বিদেশে চলে গেছেন বলে গুজব রটিয়ে দেন। তার এক ছেলে অস্ট্রেলিয়া এবং এক ছেলে কানাডায় থাকায় অনেকে বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি বিশ্বাস করেন। কিন্তু তিনি বিদেশে না গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন। গত মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে সাফরান ভিলার ২য় তলার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাহ জামাল ওই এলাকার শেখ আহম্মদের ছেলে।
পুলিশ আরও জানায়, কোতোয়ালি থানার এএসআই সাইফুল আলম ও এএসআই রণেশ বড়–য়া বিভিন্ন সময় ছদ্মবেশে কখনও পান দোকানদার, কখনও চা বিক্রেতা আবার কখনও মার্কেটিং কোম্পানির সেলসস্যান সেজে খাতুনগঞ্জ, আসাদগঞ্জ, চকবাজার, চন্দনপুরা এবং আন্দরকিল্লা এলাকায় শাহ জামালকে খুঁজতে থাকে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে বাসার সানশেড বক্সের ভেতরে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দীন বলেন, শাহ জামাল একজন প্রতারক। তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর বারবার জামিনে এসে আত্মগোপনে চলে যান। তার বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় চারটি সিআর মামলায় কারাদণ্ড রয়েছে। চকবাজার থানায় তিনটি ও কোতোয়ালি থানাসহ ১৯টি মামলায় গ্রেপ্তার পরোয়ানা রয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত খবর পেয়েছি, ৫০ কোটি টাকার মতো বিভিন্ন মানুষের বকেয়া পাওনা আছে।