বেলাল হোসাইন বিদ্যা: স্যার চার্লস স্পেনসারের নাম শুনেছেন? মানুষটির পরনে ঢোলা প্যান্ট, হাতে লাঠি। হিটলারের মতো নাকের নিচে একটু গোঁফ। হাঁটেন পা দুটো ফাঁকা করে। ঠিকই ধরেছেন, চার্লি চ্যাপলিনের কথা বলছি। তার পুরো নাম স্যার চার্লস স্পেনসার।
লোকটি তার জীবদ্দশায় হলিউডে রাজত্ব করেছেন। অভিনেতাদের ‘অভিনেতা’ বলা হয় তাকে। অসুস্থতার কারণে তার মা স্টেজে পারফর্ম করতে পারছিলেন না। এমন পরিস্থিতিতে শুধু আত্মবিশ্বাসের জোরে স্টেজে ওঠেন চ্যাপলিন। প্রথম চাকরি পান আত্মবিশ্বাসের কারণেই। আত্মবিশ্বাসের জোরেই অভিনয় জগতে পা রাখা। সে একই চেতনার মধ্য দিয়ে নিজেকে পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত করা। তার সব সিনেমায় তিনি সমাজের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরেছেন। দেখিয়েছেন নির্যাতিত-দরিদ্র মানুষের ভয়াবহ চিত্র। যেটা আজকের দিনে সম্ভব হলেও তখনকার দিনে কল্পনাও করা যেত না। তিনি তা পেরেছিলেন। পেরেছিলেন শুধু আত্মবিশ্বাসের জোরে।
জীবনের পথে চলতে গেলে আমাদের আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে হবে। শুরুটাই গুরুত্বপূর্ণ। আর সে শুরু করাটাই সবচেয়ে দুর্ভাবনার। সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে থাকি আমরা। ‘কীভাবে শুরু করবো?’ ‘এটা কি করব?’ ‘আমাকে দিয়ে হবে?’ ‘থাক, দরকার নেই’। এমন ভাবনা কুরে কুরে খায় আমাদের। কিন্তু কেন? কারণ একটাই নিজের প্রতি বিশ্বাস নেই। নিজেকে আপনি যখন এই বিশ্বাস নামক প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করাতে পারবেন, দেখবেন আপনার পৃথিবীটাই বদলে গেছে।
নিজের পৃথিবীটা বদলে যাওয়ার সঙ্গে পরিবর্তন ঘটে যাবে আপনাকে ধারণ করে রাখা পৃথিবীটাও। শুধু আত্মবিশ্বাসের জোরেই। যারা আপনার সামনে-পেছনে নিন্দা ও গালির ঢোল বাজাচ্ছে, সেদিন তারাই আপনার গুণ ও যোগ্যতার গীত গাইবেন।
চোখ বন্ধ করে একবার ভেবে দেখুন, আপনি সত্যিই কখনও আপনাকে বিশ্বাস করেছেন কিনা? ভেবে দেখুন তো, সেই বিশ্বাসের ফলটি কেমন হয়েছিল? অবসরে ভেবে নিতে পারেন। জীবনটা আপনার। আপনাকেই ভাবতে হবে। একটি দুর্ঘটনা যেমন শুধু একটি দুর্ঘটনাই নয়, বরং একটি পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, এমনকি সমগ্র বিশ্বের জন্যও দুর্ঘটনা হতে পারে। ঠিক তেমনি আপনার একটি বিশ্বাসই হতে পারে সবকিছু বদলে দেওয়ার হাতিয়ার।
Add Comment