নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ার কেনাবেচায় সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন ও ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নিদের্শনা দিয়েছেন উচ্চ আদালত। সেই নির্দেশ মানতে কমিটি গঠনও করছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
কমিটিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ-সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। গতকাল এ বিষয়ে আদেশ জারি করে বিএসইসি। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেনÑবিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ এমদাদুল হক, উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মো. মাসুদ খান।
বিএসইসি’র জারি করা আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, মামুন আজিম ও অন্যদের দ্বারা শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে অবৈধ, বেআইনি এবং অসৎ কাজের যে অভিযোগ উঠেছে, তা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।
অভিযুক্তরা শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে ইনসাইডার ট্রেডিং এবং অন্যান্য সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করেছে। তাই ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯’-এর ধারা ২১ এবং ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩’-এর ধারা ১৭ক অনুযায়ী মামুন আজিম এবং অন্যদের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। গঠিত তদন্ত কমিটি ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে শেয়ার ক্রয়সহ অন্যান্য অভিযোগ খতিয়ে দেখবে। এজন্য তদন্ত কমিটিতে বিএসইসি ও ডিএসইর কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হলো। তদন্ত কর্মকর্তারা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিএসইসিতে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এক ব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’