Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 3:26 pm

আদালতের বিবেচনায় আসবে ডিজিটাল সাক্ষ্য-প্রমাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিজিটাল সাক্ষ্য-প্রমাণ আদালতের বিবেচনায় নেয়ার বিধান রেখে ‘এভিডেন্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২২’-এর খসড়ায় নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, মহামারি শুরুর পর অনলাইনে মামলা-মোকদ্দমা চলছিল। ফলে সাক্ষ্য-প্রমাণ সবই অনলাইনে আসছিল। কিন্তু আমাদের এভিডেন্স অ্যাক্টে আবার এ রকম ডিজিটাল এভিডেন্সের সরাসরি কোনো বিধান ছিল না। কেউ যদি মামলায় হেরে যেত, সে যদি আবার আপিল করে ওপরের কোর্টে যেত, সেক্ষেত্রে আইনি কিছু জটিলতা হওয়ার সুযোগ ছিল। এটা অনেক দিন ধরেই আলোচনায় ছিল। এজন্য তারা এটা নিয়ে এসেছেন। এখন থেকে ডিজিটাল যে এভিডেন্স, সেগুলোও গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে যাতে কেউ ফলস বা ম্যানিপুলেটেড এভিডেন্স পুটআপ করতে না পারেন, এজন্য প্রয়োজনে কোর্ট যদি মনে করে আপত্তিজনক কিছু আছে বা কেউ আপত্তি করলে তারা এটাকে ফরেনসিক করে দেবে। এটা করলে বিষয়গুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে। কেউ একটা ম্যানিপুলেটেড এভিডেন্স দিল, এটায় কিন্তু বাঁচার কোনো উপায় নেই, কারণ ফরেনসিক করলেই ধরা পড়ে যাবে। বিশেষ করে ডকুমেন্টের ফরেনসিক কিন্তু দু-চার মিনিটেই করা যায়।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, একটু সময় লাগে ভিডিওর ক্ষেত্রে, তাও খুব বেশি সময় লাগে না। আমাদের পর্যাপ্ত ল্যাবরেটরি আছে দেশে। বিসিসির (বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল) কাছেও খুব হাই টেকনোলজি আছে। এগুলো বিভিন্ন জায়গায় সরকার সুবিধামতো ছড়িয়ে দিয়ে যে ডিজিটাল সাক্ষ্য উপস্থাপন করবে, সেগুলো যদি কোর্ট বা কোনো পক্ষ মনে করে আপত্তি আছে, তাহলে ফরেনসিক করে নেবে। সুতরাং টুইস্ট করার কোনো উপায় নেই। কেউ যদি টুইস্ট করে, তাহলে আমাদের পেনাল কোডের ২১১ ধারায় মিথ্যা সাক্ষ্যের বিষয় আছে। আর ডিজিটাল অ্যাক্টেরও ৫৭ ধারা আছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, আরেকটি বিষয় হলো ভিক্টিমকে জেরা করার ক্ষেত্রে শালীনতা বজায় রাখতে হবে। কোন জাতীয় প্রশ্ন প্রয়োজন, সেটা কোর্ট ঠিক করে দেবে।

এছাড়া পরিত্যক্ত সম্পত্তি বাড়ি আইন, ২০২২-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

এই আইনের আলোকে আদালতের রায়ে যদি যুদ্ধাপরাধী ঘোষিত ব্যক্তির বাড়ি সম্পত্তি জব্দের নির্দেশনা দেয়া হয়, তাহলে তা পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে গণ্য করা হবে।