ক্রীড়া প্রতিবেদক: জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) এখন থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্ষমতায় কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। বিসিবির গঠনতন্ত্র বিসিবিই সংশোধন করতে পারবে। গতকাল এ আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। এ রায়ে সন্তুষ্ট দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। এর আগে বিসিবির গঠনতন্ত্রে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) আনা সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেছিল হাইকোর্ট।
গতকাল হাইকোর্টের রায়কে ক্রিকেটের জন্য ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, এ রায়ের ফলে বিসিবির এজিএম ও ইজিএম নিয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলো না। ‘এটি ক্রিকেটের জন্য ভালো একটি সিদ্ধান্ত। তবে আমরা এখনও রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পাইনি। সেটি পেলেই অক্টোবরে বিসিবির নির্বাচন নিয়ে উদ্যোগ নিতে পারবো।’
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ গতকাল বিসিবির পক্ষে রায় দেন। আইনজীবীরা জানান, আদেশ অনুযায়ী এখন থেকে বিসিবির গঠনতন্ত্র বিসিবিই সংশোধন করতে পারবে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) নয়। আদালতে বিসিবির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে ২০১২ সালের নভেম্বরে বিসিবির গঠনতন্ত্রের সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সাবেক পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোবাশ্বের হোসেন এবং বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সভাপতি ইউসুফ জামিল বাবু। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছর ১৩ ডিসেম্বর আদালত রুল জারি করেন ও সংশোধনের জন্য সাধারণ পরিষদের দুই-তীতৃয়াংশ সদস্যের অনুমোদনের কথা বলে।
বিবিসি ২০১২ সালে ১ মার্চ বিশেষ সাধারণ সভার মাধ্যমে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে পাঠায়। কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিসিবি সাধারণ পরিষদের সদস্যদের মতামত আমলে না নিয়ে নিজেদের মতো করে সংশোধনী আনে। যা গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী।
এদিকে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি বিসিবির সংশোধিত গঠনতন্ত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। পরদিন হাইকোর্টের এ রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বিসিবি। ওই দিনই বিসিবির সংশোধিত গঠনতন্ত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। পরে বিভিন্ন সময় এ স্থগিতাদেশ বাড়ানো হয়।