নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্ট মার্টিনে পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও নতুন স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে ব্যর্থতার জন্য চার সচিবসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আদালত অবমাননার দায়ে কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনে ৭৪টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এমন একটি জরিপের পরিপ্রেক্ষিতে এসব অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ২০০৯ সালে হাইকোর্টে একটি রিট করে। তার শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২৪ অক্টোবর আদালত রায়ে সেখানে পরিবেশগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ছাড়পত্রহীন স্থাপনা অপসারণ করতে বলা হয়। সেই সঙ্গে ছাড়পত্রহীন নতুন কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করা ও বিরল প্রজাতির প্রাণী সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, শাস্তি দেওয়ারও নির্দেশ আসে হাইকোর্টের ওই রায়ে। তবে আদালতের এ নির্দেশনা থাকার পরও সেন্ট মার্টিনে পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এলাকায় থাকা হোটেল-মোটেলসহ অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়নি বরং এসব স্থাপনার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
গতকাল বেলার করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রুল জারি করেন। আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী ও সাইদ আহমেদ কবির।
পরে সাইদ আহমেদ কবির সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৭ সালে কোস্টাল অ্যান্ড ওয়েটল্যান্ড বায়োডারভার্সিটি ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্টের (সিডব্লিউবিএমপি) এক জরিপে দেখা যায়, সেন্ট মার্টিনে ৭৪টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। তা উচ্ছেদে আদালত রায় দিলেও সেই স্থাপনা উচ্ছেদ তো হয়ইনি বরং এসব স্থাপনার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ফলে বেলার পক্ষ থেকে দুদিন আগে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার এ আবেদন করা হয়।
যে ১১ জনের বিরুদ্ধে রুল জারি হয়েছে তারা হলেন পরিবেশ ও বন সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব, নৌপরিবহন সচিব, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী ও সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
Add Comment