প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় মো: জুয়েল (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত ৪টার (বৃহস্পতিবার ভোর) দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের ফকিরকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত জুয়েল চরকেওয়ার ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমশুরা ফকিরকান্দি এলাকার হাফিজ উদ্দিন ফকিরের ছেলে। তিনি মুন্সিরহাট এলাকায় ফলের ব্যবসা করতেন।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চরকেওয়ার ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ ফকির ও সাধারণ সম্পাদক মন্টু দেওয়ান বংশের লোকজনের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে আগেও কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কয়েক বছর আগে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়।
তবে কয়েকদিন ধরে জমি থেকে ট্রলিতে করে আলু হিমাগারে নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে নতুন করে বিরোধ তৈরি হয়। জমি থেকে হিমাগারে ফকির বংশের লোকজনদের আলু নিতে বাধা দিচ্ছিলেন দেলোয়ার ঢালি ও দেওয়ান বংশের লোকজন। এ নিয়ে বুধবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। রাতে ফকির বংশের ওপর ঢালি ও দেওয়ানরা হামলা করে। এতে ফকির বংশের জুয়েল ফকির নিহত হন।
নিহতের চাচাতো ভাই ও ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি মোঃ হারুন ফকির অভিযোগ করে জানান, বেশকিছুদিন ধরেই মেম্বার মন্টু দেওয়ানের ও তার লোকজনের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। তারা প্রায়ই আমাদের গ্রুপের লোকজনদের হুমকী দিয়ে আসছিল। বর্তমানে আলুর মৌসুমকে ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ফজরের নামাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হওয়ার পর তাকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর জমিতে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ৮ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মন্টু দেওয়ান জানান, বর্তমানে আমি ঢাকায় আছি। এ হত্যার ব্যাপারে আমার কিছুই জানা নেই। তারা নিজেরাই হত্যা করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে। নিহতের পায়ে গুলির চিহ্ন পাওয়া যাচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।