Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 3:12 am

আনলিমা ইয়ার্নের দর বেড়েছে ১২ দশমিক ৭৬ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বস্ত্র খাতের কোম্পানি আনলিমা ইয়ার্ন ডায়িং লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৪৭ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ সাত কোটি ৮২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ২২ শতাংশ বা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩২ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩২ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে তিন লাখ ৭০ হাজার ২৭৮টি শেয়ার ৫৪৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ২২ লাখ সাত হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩২ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৩ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২১ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৪৮ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা পাঁচ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৪ পয়সা।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল তিন পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ ইপিএস ১২ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১১ টাকা ১৬ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুন ছিল ১১ টাকা পাঁচ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে সাত পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল দুই পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৯৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ২০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৭ কোটি ৮৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক কোটি ৮৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

কোম্পানির মোট এক কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৭ দশমিক ২২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক পাঁচ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং বাকি ৪৭ দশমিক ২৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কে অ্যান্ড কিউ লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১২ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন দুই কোটি ১২ লাখ ৪৭ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৬২ লাখ ৩৯ হাজার টাকার শেয়ার।

সবশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর আট দশমিক ৭৫ শতাংশ বা ১৮ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২২৫ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২২৪ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে কোম্পানিটির দুই লাখ ৯৪ হাজার ৩১৮টি শেয়ার মোট এক হাজার ৭৮৩ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ছয় কোটি ৪০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২০৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২২৫ টাকায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরে শেয়ারটির দর ১৩৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ২৬৬ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।  

‘বি’ ক্যাটেগরির কে অ্যান্ড কিউ লিমিটেড ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি সাড়ে সাত শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭৬ টাকা ৯৪ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ৩৬ পয়সা।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৮ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস দুই পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৭৭ টাকা ১৪ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ৭৬ টাকা ৯৮ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৮ পয়সা।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দেয়। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯১ পয়সা আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৬ টাকা ৫৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে পাঁচ পয়সা ও ১১ টাকা ৪৫ পয়সা লোকসান। আর আলোচিত সময়ে কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৪৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন চার কোটি ৯০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩২ কোটি ৬২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মোট ৪৯ লাখ দুই হাজার ৫৩০টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকের কাছে ২৪ দশমিক ছয় শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক তিন দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং ৭২ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৯২ লাখ চার হাজার টাকার শেয়ার।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর চার দশমিক ৯২ শতাংশ বা এক টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪০ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪০ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ১৬ লাখ ৮৮ হাজার ৫০১টি শেয়ার এক হাজার ৩৬১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ছয় কোটি ৮৬ লাখ ২২ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪২ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৩ টাকা থেকে ৪২ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৬০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৩ কোটি ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১০ কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা।