প্রতিনিধি, কক্সবাজার : কক্সবাজারের মহেশখালীতে আনসার ভিডিপির দশ দিনের গ্রাম ভিত্তিক মৌলিক প্রশিক্ষণে দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ফখরুদ্দিন রাজিবের বিরুদ্ধে।
৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রশিক্ষণটি উপজেলার শাপলাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়৷
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- প্রশিক্ষণে ৩২ জন পুরুষ ও ৩২ জন নারী প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণের কথা থাকলেও অনেকে সনদের জন্যই প্রশিক্ষণে নাম লেখান। কিন্তু প্রশিক্ষণে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেনি। অন্যদিকে বাদ পড়েছে অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে- নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পরিধান না করে প্রশিক্ষণার্থীরা বসে গল্পগুজব করছে। পাশেই লুডু খেলছে কয়েকজন। অনেক প্রশিক্ষণার্থী আসে সনদ ও ভাতা বিতরণের আগে।
অপরদিকে ৮ জন প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ দেয়ার নিয়ম থাকলেও প্রশিক্ষণে আনা হয় ৬জন প্রশিক্ষককে। একদিন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হলেও উপস্থিত হয়নি দুর্যোগ ব্যবস্থা অফিসের কোন কর্মকর্তা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন- গ্রাম পর্যায়ে আনসার ভিডিপির প্রশিক্ষণ গুলো সঠিক বাস্তবায়ন না হওয়ায় এর প্রভাব পড়েনা জনসাধারণের উপর।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ফখরুদ্দিন রাজিব বলেন- “আমি আমার ইচ্ছেমত প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচন করেছি। কারো কোন আপত্তি নেই। প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণার্থীরা লুডু খেলছে কেন এবং সনদ ও সম্মানী ভাতা নেয়ার সময় বাইর থেকে প্রশিক্ষণার্থী কেন আসছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন- তারা আমার কথা মানছেনা। যারা দেরী করে আসছে তারাও নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে কক্সবাজার জেলা কমান্ড্যান্ট অম্লান জ্যোতি নাগ জানিয়েছেন- প্রশিক্ষণে নীতিমালা বহির্ভুত কোন কাজ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
