খন্দকার আপন হোসাইন : আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এর সদস্য রাষ্ট্র ১২৪টি। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র তালিকাভুক্ত নয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের স্বাধীন ও সচেতন কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ও নিষেধাজ্ঞার হুমকি দুটোই প্রত্যক্ষ করছে বিশ্ববাসী। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে শত্রুপক্ষের কারও বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে আইসিসির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন পক্ষান্তরে মিত্রপক্ষের বেলায় নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি একটি সাংঘর্ষিক মনোভাব। বিষয়টা অনেকটা এরকম, বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার।
রুশ আগ্রাসনের ফলে ইউক্রেনিয়ান শিশুদের ভাগ্যে নির্বাসন ও স্থানান্তরের ঘটনা নতুন নয়। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ প্রেসিডেন্ট ভøøাদিমির পুতিন ও শিশু অধিকারবিষয়ক রুশ কমিশনার মারিয়া লভোভা-বেলোয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আইসিসি। এই সিদ্ধান্তের প্রতি মার্কিন সমর্থন পরোক্ষ দৃষ্টিতে আইসিসির যাবতীয় কার্যক্রমে বৈধতা প্রদান করে। কিন্তু মাত্র এক বছরের মাথায় আইসিসির কার্যক্রমে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত কেন? আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান গত ২০ মে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রস্তাব করেছে। ধ্বংসলীলা, মানবিক ত্রাণ সরবরাহ প্রবেশে বাধা প্রদান, যুদ্ধের অন্যতম ঘৃণ্য পদ্ধতি হিসেবে কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি, রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর পরিকল্পিত হামলাসহ নানা মানবতাবিরোধী অভিযোগ আমলে নিয়েই মূলত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার, মোহাম্মদ দেইফ এবং ইসমাইল হানিয়ার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রস্তাবের পর থেকেই আইসিসির কার্যক্রমে নাখোশ যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আইসিসির এরকম সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত একরোখা সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন। এরই মধ্যে আইসিসির বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারির অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। দলমত-নির্বিশেষে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে একযোগে কাজ করার ঘোষণাও দিয়েছে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
আইসিসি কর্মকর্তাদের মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনতে অনেকদিন ধরেই চাপ দিচ্ছিল রিপাবলিকান পার্টি। অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সাম্প্রতিক মন্তব্যে আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে শিগগিরই ভোটাভুটি হতে পারে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির অভিযোগ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র। আইসিসির সিদ্ধান্তের প্রতি ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা ও আক্রমণাত্মক মন্তব্য ইসরায়েলের নাশকতাকে বৈধতা দান করে। তিন বাক্যের এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে আইসিসি প্রসিকিউটরের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন অযৌক্তিক। আমি স্পষ্ট করে বলছি, আইসিসি প্রসিকিউটর যা বলতে চান না কেন, হামাস ও ইসরায়েলকে এক কাতারে রাখা যায় না। ইসরায়েলের নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় আমরা সবসময় দেশটির পাশে থাকব।”আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার করার জন্য রোম সংবিধি (১৯৯৮) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি স্থায়ী আন্তর্জাতিক সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাক বা না থাক সেদিকে তোয়াক্কা না করেই আইসিসি সাধারণত রায় দিয়ে থাকে। নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী ঘৃণ্য অপরাধ, যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও গাজায় আক্রান্তদের আইনজীবীরা। তারই তদন্ত সাপেক্ষে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রস্তাব করিম খানের। নেতানিয়াহুর ভাষ্যমতে, করিম খান নতুন করে বিশ্বজনমনে ইহুদি-বিদ্বেষ জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। করিম খানকে ‘আধুনিক যুগের অন্যতম প্রধান ইহুদি-বিদ্বেষী বলেও মনে করে নেতানিয়াহু।’
২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে গাজায় স্থল আক্রমণের নামে নৃশংস ইসরায়েলি আগ্রাসন অদ্যাবধি চলমান। যুদ্ধবিরতির নানারকম চেষ্টা চলছে। কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞ। ইতোমধ্যে গাজায় প্রায় ৩৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। গাজার অবকাঠামো পুরোপুরি বিলীন করে দিয়েছে। মানবিক ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে বিশ্বমানবতার গালে জুতা মেরেছে ইসরায়েল। ফলে গাজার বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে দুর্ভিক্ষ। তারপরও নিজেদের বিশ্ব অভিভাবক দাবি করা যুক্তরাষ্ট্র মানবতাবিবর্জিত ইসরায়েলের প্রতি দুর্বলতা অনুভব করে। আর তাই আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রস্তাবকে ইস্যু করে নিষেধাজ্ঞার বুলি আওড়িয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েলি সরকার আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতেও (আইসিজে) গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইসরায়েল সরকারকে আরও চাপে ফেলেছে। আইসিসির এই প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানিয়ে ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েছে নরওয়ে। ফ্রান্স ও বেলজিয়াম এক বিবৃতি প্রকাশ করে করিম খানকে সমর্থন জানিয়েছে। ফ্রান্সের মতে, ইসরায়েল ‘আত্মরক্ষা’র নাম ভাঙ্গিয়ে বহু নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। এর বিচার প্রয়োজন। একই সুর বেলজিয়ামেরও। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোও। করিম খান ও তার সহযোগীদের দাবি, হামাস মৌলিক মানবাধিকারকে খর্ব করেছে। ইসরায়েলও আত্মরক্ষার নামে আন্তর্জাতিক মানবতার আইন না মেনে নির্বিচারে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ঠিক এ কারণেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রয়োজন। আবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্যালেস্টাইনকে অন্তর্ভুক্ত করতে ১৪৩ রাষ্ট্রের সমর্থন ও ইউরোপীয় দেশগুলোর প্যালেস্টাইনের প্রতি সহমর্মিতা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মর্মপীড়ার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের ইসরায়েলের পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে পরিচয় দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। যারাই ইসরায়েলের নৃশংসতার বিপক্ষে কথা বলে আপনাআপনিই তারা যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতে পরিণত হয়ে যায়। ইসরায়েলবিরোধী রাষ্ট্র ইরান তাই যুক্তরাষ্ট্রও ইরানকে নিজেদের শত্রু হিসেবেই বিবেচনা করে। এমনকি গত ১৩ মে ভারত-ইরান চাবাহার বন্দর চুক্তি প্রসঙ্গে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদন্ত প্যাটেল হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “কেউ যদি ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনের কথা ভাবে, তা হলে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তাদের সতর্ক থাকতে হবে।” ইসরায়েলের শত্রুরাষ্ট্র ইরানের সাথে ভারতের একটি সাধারণ ব্যবসায়িক চুক্তির জন্যই যেখানে ভারত নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি বাণী শুনলো সেখানে আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো যুক্তরাষ্ট্রের সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন ও নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি এবারই প্রথম নয়। এর আগেও ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে অবৈধ আখ্যা দেয়। ওই আদালতে মার্কিন সেনাদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করলে সেখানকার বিচারপতি ও প্রসিকিউটরদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছিল জন বোল্টন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকিতে তখনও টলেনি আইসিসি এখনও টলছে না।
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রনীতির একটি বিশেষ বিষয় হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা জারি করা। যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতি ও স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এমন বিষয়ে জড়িত কোনো দেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রের সন্দেহের তালিকায় পড়ে তবে সেসব দেশকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেয়া হয়। তাদের নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়ে ক্ষেত্রবিশেষে নিশ্চুপ থাকতে বাধ্য করা হয়। আসলে বিনাযুদ্ধে রাজ্য জয়ের একটি কৌশল হচ্ছে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি। আধুনিক যুদ্ধের অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞার প্রত্যক্ষ ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের সূচনালগ্ন থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও মার্কিন মিত্ররা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চলেছে। সেই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে রাশিয়ার অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে ফেলার চেষ্টা এখনও চলমান আছে। নিষেধাজ্ঞার কাঁটাতারে পেঁচিয়ে রাশিয়াকে তারা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। ফলে রাশিয়া জ্বালানি ও কাঁচামাল রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল হতে বাধ্য হয়েছে।
একতরফা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কেবল একটি দেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। ১৯৯৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ২০টিরও বেশি দেশের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ড্যানিয়েল টি গিসোয়াল্ডের মতে, যেসব দেশের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে প্রকৃতপক্ষে তাদের মধ্যে আচরণগত কোনো পরিবর্তন আসেনি। বরং তারা মার্কিন কোম্পানিগুলোকে সেখানে কাজ করা থেকে বিরত রেখেছে। এতে করে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলোর দরিদ্র জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন ও পারমাণবিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের অভিযোগে ১৯৫০ সালে উত্তর কোরিয়াকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ১৯৫৮ সালে কিউবা, ১৯৭৯ সালে প্রথমে ও দ্বিতীয় মেয়াদে ১৯৮৭ সালে ইরান, ১৯৮৬ সালে সিরিয়া, ২০১৯ সালে ভেনিজুয়েলা, ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের র?্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র?্যাব) মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে। অতি সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটের বিবৃতি অনুযায়ী, দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিষেধাজ্ঞায় তার পরিবারের সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত। নিষেধাজ্ঞায় ঘোষণা করা হয়েছে আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য।
তিন উপায়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রথমত. অভিযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দোষ প্রমাণে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য দিতে হবে। দ্বিতীয়ত. অভিযুক্ত ব্যক্তিকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার করতে হবে। তৃতীয়ত. অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে আচরণগত পরিবর্তন আসা, অপরাধের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ না করার বিশ্বাসযোগ্য অঙ্গীকার করা। এই তিনটি উপায়ের যে কোনো একটি অবলম্বন করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখতে হয়। সে ক্ষেত্রে ১২০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট জবাব দিয়ে থাকে। জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয় হলে প্রেসিডেন্ট গোপনীয় চিঠির মাধ্যমে জবাব দিয়ে থাকে। চিঠিতে উল্লিখিত বিষয়বস্তুর সত্যতা প্রমাণিত হলে ন্যূনতম ১৫ দিন পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আদেশ জারি হয়। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অবশ্যই কিছু কিছু ভালো দিক আছে। কিন্তু পক্ষপাতদুষ্ট মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কখনও অভিভাবকসুলভ আচরণ হতে পারে না।
শিক্ষক
ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুল
শহীদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাস, ঘাটাইল, টাঙ্গাইল