আন্দোলন ‘চূড়ান্ত পরিণতির দিকে’ যাচ্ছে: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটানোর আন্দোলনে সফলতা দেখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি গতকাল শনিবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশের মানুষ যে সংগ্রাম-লড়াই শুরু করেছে, এই লড়াই তীব্র গতিতে তার চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বইমেলা ও চিত্র প্রদর্শনী’র আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ফখরুল।

নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবি করে আসা বিএনপি গত ডিসেম্বরে ১০ দফা ঘোষণা দিয়ে হুশিয়ারি দেয়, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।

আন্দোলনে দমন-পীড়নের অভিযোগ তুলে ফখরুল বলেন, ‘ইতোমধ্যে রাজপথে ১৭ জন মানুষ বুকের রক্ত দিয়েছেন। লাখ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে, গুম হয়েছে। তারপরও মানুষ থেমে নেই। মানুষ গণতন্ত্রের জন্য অবিরাম সংগ্রাম করছে, লড়াই করছে। আমাদের নেতা তারেক রহমান যে ডাক দিয়েছেন, তাতে সাড়া দিয়ে আজকে আমরা উঠে দাঁড়িয়েছি, মানুষ উঠে দাঁড়িয়েছে।’

এই আন্দোলনে অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নামার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আজকে দেখুন আমাদের আন্দোলন কতটা সফল হয়েছে, তার প্রমাণ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত যে এই সরকার গত ২০১৪ ও ২০১৮তে নির্বাচনকে তারা জালিয়াতি করেছে, চুরি করেছে, জনগণের মতামতকে সেখানে প্রকাশ করতে দেয়া হয়নি। আজকে প্রমাণিত হয়েছে বলেই গণতন্ত্রের জন্য, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, ভোটের অধিকারকে নিশ্চিত করার কথা বলা হচ্ছে।’

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে নাÑদাবি করে ফখরুল বলেন, সুতরাং অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের লেখা বিভিন্ন গ্রন্থ এবং তার বিভিন্ন সময়ের আলোকচিত্রের একটি প্রদর্শনী হয়।

বইমেলা ও চিত্র প্রদর্শনী কমিটির আহ্বায়ক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তাজমেরী এস এ ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল লতিফ মাসুম ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত আলোকচিত্রী নুর উদ্দিন আহমেদ নূরু বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের সদস্য নাদিয়া পাঠান পাপন জিয়াউর রহমানের ওপর সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের লেখা কবিতা ‘আমি একজন মহাযোদ্ধার কথা বলছি’ আবৃত্তি করেন। শিল্পী আবদুস সাত্তার, আলোকচিত্রী নুর উদ্দিন আহমেদ, বুলবুল আহমেদ, রুস্তম আলী প্রামাণিক, আনোয়ার হোসেন জনি, আলী আহসান নিশান, ইকবাল আহমেদ তনু, শহীদুল ইসলাম, খায়রুল আলম তোহাসহ চিত্রাঙ্গন অংশগ্রহণকারী এবং জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের কর্মকর্তাদের সনদ দেয়া হয় কমিটির পক্ষ থেকে।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক লুতফর রহমান, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান রতন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুল খালেক, রফিক শিকদার, জাসাসের আহসান উল্লাহ চৌধুরী, হাসান চৌধুরী, জাগপার খন্দকার লুতফর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০