প্রতিনিধি, রাঙামাটি: শ্রাবণ মাস। চলছে বর্ষার দ্বিতীয় পর্ব। সামনে শরৎ। প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে পাহাড়ের প্রকৃতি। বৃষ্টিস্নাত মায়াবী সবুজ পাহাড় এখন বিরাজ করলেও রাঙামাটিতে নেই পর্যটক। দেশে আন্দোলন, সংঘাত ও চলমান কারফিউয়ের কারণে একেবারে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে রাঙামাটি। এতে এক সপ্তাহে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
কাপ্তাই হ্রদের পাড়ে গড়ে ওঠা রাঙা দ্বীপ, বার্গী লেক, বড় গাঙ, নীলাঞ্জনা রিসোর্ট, গাঙপাড়, রান্যা টুগুন, বেড়ান্যে লেক ভিউ, ইজোর, পলওয়েল পার্ক ও রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স অন্যতম। এ ছাড়া রয়েছে হাউস বোট। প্রকৃতিপ্রেমীরা বর্ষার সময় ঘুরতে আসেন রাঙামাটিতে। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে পাহাড়ের প্রকৃতি দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পর্যটকেরা। অন্যদিকে পর্যটক না থাকায় অলস সময় পার করছেন পর্যটননির্ভর ব্যবসায়ীরা।
একাধিক ব্যবাসায়ী জানান, ব্যবসা নেইÑঅলস সময় পার করছেন তারা। বেচা-বিক্রি নেই। বোটভাড়া হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পর্যটক আসবে বলে আশা করছেন তারা। সরেজমিনে দেখা যায়, রাঙামাটি শহরে আছে ৫২টি বাণিজ্যিক আবাসিক হোটেল এবং সাজেক ভ্যালিতে আছে ১১৬টি রিসোর্ট। বর্তমানে এসব রিসোর্ট ও আবাসিক হোটেলে নেই কোনো পর্যটক। ফলে গত এক সপ্তাহে শুধু পর্যটন খাতে পাঁচ কোটি টাকার ওপর ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
রাঙামাটি বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে আমাদের রাঙামাটি পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে, যার কারণে আমাদের এখানে প্রতিদিন আনুমানিক প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। আশা করি আমাদের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হলে পর্যটকেরা আগের মতো রাঙামাটিতে বেড়াতে আসবেন।’ উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে রাঙামাটিতে হয়নি কোনো সহিংসতা। ফলে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো এ জেলায় ছিল না কারফিউ, স্বাভাবিক ছিল সবকিছু। তবে দেশের অন্যান্য এলাকায় সহিংসতার কারণে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।