Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 10:04 pm

আপাতত কোনো টিকা পাচ্ছে না বাংলাদেশ: ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশসহ কোনো দেশই আপাতত ভারতে উৎপাদিত টিকা পাচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশটি। উল্টো টিকা কোন দেশ থেকে আমদানি করা যায় সেটা নিয়ে ভাবছে তারা। গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এ তথ্য জানান। সূত্র: আনন্দবাজার।

বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ভারতের কাছ থেকে পাওয়া প্রথম দফার টিকা নিয়ে বসে রয়েছেন পরবর্তী ডোজের জন্য। দ্বিতীয় ডোজের সময় পেরিয়েছে আড়াই-তিন মাস।

সাংবাদিক বৈঠকে অরিন্দম বাগচীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আপনারা জানেন, প্রতিষেধক ও অন্যান্য সরঞ্জাম বাইরের দেশগুলোতে রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারতই সবার আগে ছিল। কিন্তু আমরা এখন বাইরে থেকে সরবরাহ (প্রতিষেধক) আমদানিই নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। সেই প্রেক্ষাপটে প্রতিষেধক রপ্তানি করার প্রশ্ন ওঠাটাই ঠিক নয়। আমরা এখন ঘরোয়া প্রতিষেধক তৈরির কর্মসূচিকেই মূল লক্ষ্যবস্তু করছি।

কূটনৈতিক মহল বলছে, খুবই প্রাঞ্জল করে মুখপাত্র জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিষেধক রপ্তানির প্রশ্নই উঠছে না। তার কারণ দেশে যেভাবে টিকা দেয়া সম্ভব হবে বলে ধরে নেয়া হয়েছিল তার ধারেকাছে দিয়েও যেতে পারেনি মোদি সরকার। কিন্তু সে সঙ্গে এই বিতর্কও উঠছে যে, কেন্দ্র নিজে থেকেই বারবার বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বকে আশ্বস্ত করেছিল ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর নীতির কথা বলে। এপ্রিলের গোড়ায়, অর্থাৎ ভারতে কভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাইসিনা সংলাপে জানিয়েছিলেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভারতের যেটুকু সম্পদ তা গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নেয়াতেই বিশ্বাস করে তার সরকার।’

বাংলাদেশের বক্তব্য, ভারতের এহেন আশ্বাসেই অন্য কোনো দেশের দিকে তাকানো হয়নি। এমনকি প্রাথমিকভাবে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল চীনকেও। উপায়ান্তর না দেখে এখন সেই চীনেরই দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। যদিও আমরা এখনও জানি না, যারা ভারতের কাছ থেকে প্রথম ডোজ নিয়ে বসে রয়েছেন তাদের এখন প্রোটোকল কী হবে?

বাংলাদেশ সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা আরও বলছে, অবশ্য এ কথাও জানা যাচ্ছে, পররাষ্ট্র সচিব ও বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বেশ কয়েক দিন আগেই ঘরোয়াভাবে ঢাকাকে সতর্ক করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ যেন তাদের নাগরিকদের জন্য প্রতিষেধকের বিকল্প ব্যবস্থা করতে শুরু করে। কারণ, অন্য দেশকে দেয়ার মতো বাড়তি টিকা ভারতের হাতে নেই।