শেয়ার বিজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের ক্রম অবনতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উত্তরণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দেশটিতে বেশ কয়েকটি প্রকল্প শুরু করতে যাচ্ছে। এ প্রকল্পগুলোয় ইইউ ব্যয় করবে ২৬৮ দশমিক তিন মিলিয়ন ইউরো। খবর: ডয়েচে ভেলে।
গত বছর আগস্টে আফগানিস্তানের শাসনভার পায় তালেবান গোষ্ঠী। তাদের ক্ষমতায় আসার পর দেশটির উন্নয়ন সহযোগী ও দাতা সংস্থাগুলো নতুন সরকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৯ বিলিয়ন ডলার (৯ হাজার কোটি ডলার) আটকে দেয়। এসব কারণে দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে।
এরই মধ্যে আফগানিস্তানে চলমান অর্থনৈতিক সংকটে সৃষ্ট অতিরিক্ত মুদ্রাস্ফীতির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। এ কারণে খাদ্যাভাব ও মানবিক সংকটে পড়েছে দেশটি। জাতিসংঘের তথ্যমতে, দেশটির অর্ধেক মানুষ খাদ্যসংকটে পড়বে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্ভিক্ষ শুরু হতে পারে। এ ছাড়া অনেক মানুষ পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে গেছে, তাদের সহায়তার জন্যও ব্যাপক অর্থের প্রয়োজন।
এ কারণে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ইইউ। তারা জানিয়েছে, এ প্রকল্পগুলো আফগান জনগণকে বর্তমান পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে। তারা আফগানদের সঙ্গে রয়েছে বলে জানায়।
আফগানিস্তানে বর্তমানে কাজ করছে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনিসেফ, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম, ইউএনডিপি, ইউএনএইচসিআর ও আইওএম। তাদের মাধ্যমে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। শিক্ষা, চিকিৎসা ও জীবনযাত্রার মানকেন্দ্রিক বিষয়গুলোয় এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রও আফগানিস্তানকে ৭০ কোটি আট লাখ ডলারের সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস জানায়, মানবিক সহায়তাদানকারী প্রতিষ্ঠান যারা আফগানিস্তানে ও আফগান শরণার্থীদের জন্য বাসস্থান, চিকিৎসা ও দরকারি খাদ্য সহায়তা করে, সেসব প্রতিষ্ঠানকে ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুত এ অর্থ সহায়তা করা হবে।