শেয়ার বিজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে গত আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা মেয়েদের স্কুলগুলো ‘খুব দ্রুত’ খুলে দেয়া হবে। স্থানীয় সময় শুক্রবার জাতিসংঘের সংস্থা ইউনিসেফের উপনির্বাহী পরিচালক ওরম এবদি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের এ কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে আফগানিস্তান সফরে গিয়ে তিনি আফগানিস্তানে অবস্থান করার সময়েই দেশটির পাঁচ প্রদেশ- বালখ, জৌজান, সামানগান, কুন্দুজ ও উরুজগানে মেয়েদের মাধ্যমিক স্কুলগুলো খুলে দিয়েছে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার।’
‘দেশটির শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। তিনি বলেছেন- আফগানিস্তানে মেয়েদের মাধ্যমিক স্কুলগুলো পরিচালনাবিষয়ক একটি ‘ফ্রেমওয়ার্ক’ আফগান সরকার তৈরি করছে। আগামী এক কিংবা দুই মাসের মধ্যে এটি শেষ হবে এবং তারপরই দেশের সবগুলো মেয়ে স্কুল খুলে দেয়া হবে।’
গত ১৫ আগস্ট তালেবান বাহিনী কাবুল দখলের পর কো-এডুকেশন স্কুলগুলোর পাশাপাশি মেয়েদের স্কুলগুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ফলে ব্যাপক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়ে দেশটির নারী শিক্ষা ব্যবস্থায়।
সাংবাদিকদের ইউনিসেফের উপনির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আমরা বলেছি, যতদ্রুত সম্ভব যেন স্কুলগুলো ফের চালু করা হয়। কারণ এর সঙ্গে লাখ লাখ আফগান কিশোরীর ভবিষ্যৎ সম্পর্কিত।’
হামলায় নিহত বেড়ে ৪৭, দায় স্বীকার আইএসের: এদিকে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কান্দাহারে শিয়া মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে আইএস। হামলায় ইতোমধ্যে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৭ জনে, আহত হয়েছেন আরও ৭০ জন।
শুক্রবার যখন বিবি ফাতেমা নামের ওই মসজিদে হামলা হয়, তখন সেখানে জুমার নামাজ চলছিল। বিবি ফাতেমা কান্দাহারের বৃহত্তম শিয়া মসজিদ। বিস্ফোরণের সময় প্রায় ৫০০ ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করছিলেন মসজিদটিতে। নিহত ও আহতের হালনাগাদ সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন কান্দাহারে তালেবান সরকারের শীর্ষ নির্বাহী হাফিজ সাঈদ।
এদিকে, শুক্রবার নিজেদের সংবাদ সংস্থা আমাক নিউজে দেয়া এক বিবৃতিতে বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক টেস্টের আফগানিস্তান শাখা আইএস খোরাসান (আইএসকে)। গত ৮ অক্টোবর কুন্দুজ শহরে হামলার ঘটনাও স্বীকার করেছিল আইএসকে।
আইএস খোরাসানও অবশ্য বিবৃতিতে এ বিষয়টি স্বীকার করেছে। আমাক নিউজে দেয়া বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, দুজন আত্মঘাতী আইএস সদস্য এ হামলা ঘটিয়েছে। দুজনের দেহেই বোমা সংযুক্ত ছিল।
