শেয়ার বিজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন পর আফগানিস্তানে খুলে দেয়া হয় মেয়েদের মাধ্যমিক স্কুল। ক্লাসে ফিরেছিল মেয়ে শিক্ষার্থীরা। গতকাল স্কুল খোলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফের বন্ধও করে দেয়া হয়। খবর: ডয়েচে ভেলে।
আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের মুখপাত্র ইনামুল্লাহ সামানগনির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে ফের বন্ধ ঘোষণা করায় এই গোষ্ঠীর নীতি পরিবর্তনের বিষয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কুলে আসার পর মেয়ে শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরে যেতে বলার খবরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হ্যাঁ, বিষয়টি সত্য। একটি নতুন পরিকল্পনা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।
মেয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দেশটির এক শিক্ষা কর্মকর্তাও। তিনি বলেন, চলতি বছর থেকে আর কোনো স্কুল বন্ধ থাকবে না। এখন সেই ঘোষণা থেকে সরে এলো তালেবান সরকার। ফলে আবার আশাভঙ্গ হলো আফগান মেয়ে শিক্ষার্থীদের।
গত বছর ১৫ আগস্ট তালেবান দেশটির মসনদে বসে। এরপর সেপ্টেম্বরের শুরুতে তালেবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভা ঘোষণা দেয়। অবশ্য সরকার গঠন করলেও বিশ্বের কোনো দেশই এখন পর্যন্ত তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। এর জেরে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতা সংস্থাও আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তাসহ অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেয়। আফগানিস্তানকে স্বীকৃতি না দিলেও বারবার মানবাধিকার ও নারী অধিকারের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েছে তারা। তাদের অন্যতম দাবি ছিল, মেয়েদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। তালেবান সরকারের স্বীকৃতি ও আফগানিস্তানকে ত্রাণসাহায্য দেয়ার ক্ষেত্রেও নারী অধিকার ও শিক্ষার বিষয়টি তারা সামনে এনেছে।
এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আফগানিস্তান শাসন করেছে তালেবান। তখন তারা মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। অনেক চাকরিও মেয়েরা করতে পারত না। তবে এবার মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা বেশি সংখ্যায় স্কুল ও কলেজে ফিরেছে। অবশ্য তালেবান বরাবর বলে আসছে, তারা নারীদের অধিকারকে সম্মান করে। তবে তালেবান ক্ষমতা নেয়ার পর দেশটিতে নারীদের আবার কাজ থেকে বিরত রাখা হয়। নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ও বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে তীব্র সমালোচনা শুরু হয় বিশ্বজুড়ে।