শেয়ার বিজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় অন্তত ২২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া শত বাড়িঘর ধ্বংস ও আবাদি জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খবর: নিউইয়র্ক পোস্ট।
গতকাল আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ ও তথ্য বিভাগের প্রধান হাসিবুল্লাহ শেখাইনি বৃষ্টি-বন্যায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানান।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় তালেবান সরকারকে রীতিমতো বেগ পোহাতে হচ্ছে। দেশটির এক-তৃতীয়াংশের বেশি প্রদেশ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই কর্মকর্তা জানান, সরকার সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলোর কাছে যাবে। গত বছর তালেবান ক্ষমতায় আসার পর দেশটি মানবিক সংকটে পড়ে।
হাসিবুল্লাহ শেখাইনি জানান, ১২টি প্রদেশে বন্যা ও ঝড়ে অন্তত ২২ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন। কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। বৃষ্টি ও বন্যায় দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বাদঘিস, ফারিয়াব ও উত্তরাঞ্চলীয় বাঘলান প্রদেশ সবেচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ১ মে থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে আফগানিস্তানের কান্দাহার, হেলমন্দ, হেরাট, বাদাখশান, তাখার, পারওয়ান, কুন্দুজ, ওয়ারদাক, বাঘলান, ফারিয়াব ও জাজিয়ান প্রদেশে বৃষ্টি ও বন্যা হচ্ছে।
গত কয়েক বছর ধরে প্রচণ্ড খরার মুখোমুখি হয়েছে আফগানিস্তান। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশটির খরা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। খরার কারণে পণ্যের উৎপাদন কমে যাওয়ায় দেশটিতে গুরুতর খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা বেড়েছে।
শেখাইনি জানান, বৃষ্টি ও বন্যায় ৫০০ বাড়িঘর ধ্বংস, ২০০০ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত, ৩০০টি গবাদিপশুর মৃত্যু ও প্রায় ৩ হাজার একর জমির শস্যের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস সহায়তা করছে। সরকারি কর্মকর্তারা অন্যান্য আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থার কাছে সহায়তা চাইবেন বলে জানান তিনি।
গতকাল বৃষ্টিপাত কমে আসায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গতকালের মতো আজও হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রদেশগুলোয়।