Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 7:20 pm

আফগানিস্তানে ব্রিটিশ বাহিনীর বেআইনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু

শেয়ার বিজ ডেস্ক|: আফগানিস্তানে ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীর বেআইনি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়ে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাজ্য। গত বুধবার থেকে এ তদন্তের কাজ শুরু হয়। খবর: আল জাজিরা।

গত বছরের ডিসেম্বরে এ-সংক্রান্ত তদন্তের ঘোষণা দেয়া হয়। পাশাপাশি তদন্ত কার্যক্রম সুষ্ঠু বা পর্যাপ্ত হচ্ছে কি না, তাও দেখা হবে বলে জানানো হয়।

তদন্ত কমিটির প্রধান লর্ড জাস্টিস হ্যাডন-কেভ এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক তথ্যসহ এগিয়ে আসার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী ও দেশের সুনাম রক্ষার জন্য এ তদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া অভিযোগগুলো অত্যন্ত গুরুতর।

২০১০ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০১৩ সালের মাঝামাঝি আফগানিস্তানে ব্রিটিশ স্পেশাল ফোর্সেস (কমান্ডো) বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এ তদন্তে ওই বাহিনীর পরিচালিত নৈশ অভিযানগুলো নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হবে। তাছাড়া আইনবহির্ভূত হত্যা ও পরবর্তী সময়ে সেগুলো ধামাচাপা দেয়া দুটি অভিযোগই খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি।

লর্ড জাস্টিস হ্যাডন-কেভ আরও বলেন, যে বা যারা আইন ভঙ্গ করেছেন তদন্তের জন্য তাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। যারা নির্দোষ তাদের ওপর থেকেও সন্দেহের কালো মেঘ দূর করতে হবে।

গত বছর বিবিসির কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানে ছয় মাস দায়িত্ব পালনকালে ব্রিটিশ কমান্ডো বাহিনীর একটি স্কোয়াড্রনের হাতে কমপক্ষে ৫৪ জন আফগান নিহত হয়েছেন।

হ্যাডন-কেভ জানান, তদন্তের অনেক শুনানির প্রকৃতি অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় শুনানির গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে। তাছাড়া ডিডিওতে ব্রিটিশ বাহিনীর হাতে নিহত দুই পরিবারের আইনি চ্যালেঞ্জও তদন্তে খতিয়ে দেখা হবে। বছরের পর বছর ধরে গোপনীয়তা ও ধামাচাপার মধ্য দিয়ে প্রিয়জন হারানো মানুষরা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করেছেন। তাদের আশা, এ তদন্ত আফগানিস্তানে ব্রিটিশ বাহিনীর কর্মকাণ্ড সবার সামনে নিয়ে আসবে।

এর আগে ২০১৪ সালে রয়্যাল মিলিটারি পুলিশ অপারেশন নর্থমুর শুরু করে। যার লক্ষ্য ছিল বেআইনি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগগুলো তদন্ত করা। কিন্তু কোনো অভিযোগ গঠন ছাড়াই ২০১৯ সালে তদন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়।