শেয়ার বিজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে মানবিক বিপর্যয় এড়াতে সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে বিশ্বের ২০টি প্রধান অর্থনীতির জোট জি-২০। এ সহায়তা নিয়ে যদি তালেবানের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হয়, সেটাও করবে এ জোট। গত মঙ্গলবার জোটের ভার্চুয়াল বিশেষ সম্মেলন থেকে এ সিদ্ধান্ত এসেছে। ওই সম্মেলনে জোট নেতাদের মধ্যে আলোচনার পর ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি এসব কথা জানান। খবর: বিবিসি, আল জাজিরা।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির সভাপতিত্বে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জি-২০ জোটভুক্ত ইউরোপের দেশগুলোর নেতারা অংশ নেন।
বৈঠকে আফগান অর্থনীতিতে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি এড়াতে ১০০ কোটি ইউরো (১২০ কোটি ডলার) তহবিল সহায়তা দিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এছাড়া তালেবানকে স্বীকৃতি না দিয়েই আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা পাঠাতেও একমত হন জি-২০ নেতারা। এ তহবিল আফগানিস্তানে জরুরি মানবিক চাহিদা পূরণ এবং যেসব দেশ পালিয়ে যাওয়া আফগান নাগরিকদের আশ্রয় দিয়েছে, তাদের দেয়া হবে।
বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘(আফগানিস্তানের) জরুরি মানবিক পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আমাদের সবার মতামত ছিল অভিন্ন।’
এদিকে আফগানিস্তান ও আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য ১১৫ কোটি ডলার সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন। এছাড়া আফগান সংকট নিরসনে জার্মানি ৬০০ মিলিয়ন ইউরো দেবে বলে জানিয়েছেন অ্যাঙ্গেলা মেরকেল।
আটকে থাকা রিজার্ভ ছাড়ের পথ নেই: এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকসহ বাইরের বিভিন্ন দেশে আফগান সরকারের যে রিজার্ভ অর্থ আটকে আছে, তা ছাড় বা উদ্ধারের কোনো পথ আপাতত নেই বলে জানিয়েছে কাতার। গতকাল বুধবার কাতারের রাজধানী দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল থানি বলেন, ‘আমার মনে হয় না দ্রুত এই সমস্যাটির সমাধান হবে। আটকে থাকা রিজার্ভ ছাড়ের কোনো পথ আপাতত নেই।’আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক হাজার কোটি ডলারের বেশিরভাগই রয়েছে ফেডারেল রিজার্ভসহ একাধিক বিদেশি ব্যাংকে। তাছাড়া বেশ ভালো পরিমাণ স্বর্ণও মজুত আছে ফেডারেল রিজার্ভে। তালেবান বাহিনী আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেয়ার পর সেই অর্থ ফ্রিজ করে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।