শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে আটকে থাকা আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় রিজার্ভের ৭০০ কোটি ডলার ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলেছেন আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। এই সম্পদের অর্ধেক যুক্তরাষ্ট্রে নাইন-ইলেভেন হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে দেয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। খবর: সিএনএন।
হামিদ কারজাই বলেন, এই তহবিল কোনো সরকারের নয়, আফগানিস্তানের জনগণের। সব অর্থ আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ফিরিয়ে দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক নির্বাহী আদেশ সই করেন। এ আদেশ অনুযায়ী ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার আফগান জনগণ পাবেন। বাকিটা যুক্তরাষ্ট্রের নাইন-ইলেভেন হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের দেয়া হবে। বাইডেনের এ নির্বাহী আদেশে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে অনেক দেশ।
হামিদ কারজাই আরও বলেন, ওসামা বিন লাদেনকে আফগানরা নয়, বিদেশিরাই আফগানিস্তানে এনেছিলেন। ওসামা পাকিস্তান থেকে এসেছিলেন, আবার ওই দেশে ফিরে নিহত হন। কিন্তু আফগান জনগণকে তার কর্মের মূল্য দিতে হচ্ছে।
জব্দ অর্থ ফেরত পেলে দৈনিন্দন জীবনে ব্যবহার করা হবে না। এটা আফগানদের ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষিত থাকবে বলে মন্তব্য করেন হামিদ কারজাই।
গত আগস্টে আফগানিস্তানের মসনদে বসে তালেবান। দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর বিদেশে থাকা দেশটির কয়েক বিলিয়ন অর্থ জব্দ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এ কর্মকাণ্ডে শামিল হয়। এর মধ্যে বেশির ভাগ সম্পত্তি ফ্রিজ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তহবিলের অভাবে ভেঙে পড়েছে আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। ফলে দেশটিতে মানবিক বিপর্যয়ের পরিণতি নিয়ে সতর্ক করে আসছে ত্রাণ সহায়তা গোষ্ঠীগুলো। ক্রমবর্ধমান সংকট উত্তরণে আফগানিস্তানের জব্দ অর্থ ছাড়ের বিষয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করতে উদ্যোগ নিয়েছে মুসলিম দেশগুলো।
এরই মধ্যে এশিয়ার দরিদ্রতম দেশে পরিণত হয়েছে আফগানিস্তান। এখন অনেক আফগানের কাছে খাবার সংকুলান করার মতো পর্যাপ্ত অর্থও নেই। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ধারণা করছে, দেশটির প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষ খাদ্য সংকটে রয়েছেন। সবমিলে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে আফগানিস্তান।