আফতাব অটোমোবাইলের ঋণমান ‘এ১’ ও ‘এসটি-৩’

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি আফতাব অটোমোবাইলস লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ১’। আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে ব্যাংক ঋণের অবস্থা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।

কোম্পানিটি ১৯৮৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০৫ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৪৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১০ কোটি ৫৫ লাখ ৪৪ হাজার ৯৯৫ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ২৯ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৩ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে বাকি ২৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ শেয়ার।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫১ টাকা ৭৬ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৯ পয়সা। এর আগে এদিকে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের) এবং ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ (সব শেয়ারহোল্ডারকে) দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ পয়সা এবং ২০২২ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ৮৮ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ৭১ পয়সা।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ বা ১ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৬১ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৬০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬৪ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ৫০ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫০টি শেয়ার মোট ৬ হাজার ৩৭৫ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৩১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ২৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৬৪ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের তুলনায় কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৮ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল এক পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় ২৯ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে প্রথমার্ধে (জুলাই, ২০২৩-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৪ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ২ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা ৮২ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ৫১ টাকা ৯৬ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ১২ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৭৭ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০