নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বৃহস্পতিবার লেনদেন তালিকার শীর্ষে ছিল প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত আফতাব অটোমোবাইলস লিমিটেড। ওইদিন কোম্পানিটির ২৯ কোটি ৭৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
সূত্রমতে, গতকাল কোম্পানিটির ৪৯ লাখ ২৬ হাজার ৩৮৪টি শেয়ার চার হাজার ১৮৫ বার লেনদেন হয়। শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে পাঁচ দশমিক ৯৬ শতাংশ বা তিন টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৬০ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৬০ টাকা ৬০ পয়সা। শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৫৭ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬১ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৬৯ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ১৯৮৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করেছে। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ১০ মাসের হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৮০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৬১ পয়সা ও ৫৩ টাকা ৮৭ পয়সা। ২০১৫ সালে কোম্পানিটি ১৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই সময় ইপিএস হয়েছিল তিন টাকা পাঁচ পয়সা এবং এনএভি ছিল ৫৪ টাকা ৩০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে চার টাকা এক পয়সা ও ৫২ টাকা ৬৪ পয়সা। ওই সময়ে কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ২৯ কোটি ৯৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা আগের বছর মুনাফা ছিল ৩৮ কোটি ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৮৪ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ৬৭ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ১৭ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি ছিল ৬৫ টাকা ৯২ পয়সা। এটি একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় ছিল ৫৬ টাকা ৮ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে আট কোটি দুই লাখ টাকা। তিন প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৬৮ পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময় ছিল ৬৩ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছিল পাঁচ পয়সা। ৩১ মে ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি ছিল ৫৫ টাকা ৩৮ পয়সা। এটি আগের বছর ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ছিল ৬৪ টাকা ৩০ পয়সা।
১২০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৫ কোটি ৭৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ২৩১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (ইপি) অনুপাত ১৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৮ দশমিক ০৪ শতাংশ। কোম্পানিটির ৯ কোটি ৫৭ লাখ ৩২ হাজার ৪২২টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ২৮ দশমিক ৪২ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৯ দশমিক ১৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪২ দশমিক ৩৯ শতাংশ শেয়ার।