Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 7:06 pm

আফ্রিকার বাইরে শনাক্ত হাজারের বেশি

শেয়ার বিজ ডেস্ক: আফ্রিকা মহাদেশের বাইরে মাঙ্কিপক্স শনাক্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে মহাদেশটির বাইরে মাঙ্কিপক্সের ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও)। খবর: এএফপি।

বিশ্বজুড়ে কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব কমতে শুরু করলেও কয়েকটি দেশে মাঙ্কিপক্স নামের বিরল রোগটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপসহ বেশ কয়েকটি দেশে মাঙ্কিপক্সের রোগী শনাক্ত করেছে দেশগুলোর স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। গত মাসের শুরু থেকে এ সংক্রমণ বাড়ছে। এই রোগ আফ্রিকার কিছু অংশে উদ্বেগজনকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

ডবিøউএইচওর প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস গত বুধবার সতর্ক করে বলেন, স্থানীয় রোগ নয়, এমন ২৯টি দেশ থেকে এক হাজারের বেশি মানুষের মাঙ্কিপক্স শনাক্তের তথ্য জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থাকে অবহিত করা হয়েছে। ভাইরাসটির বিরুদ্ধে এখনই গণটিকা কার্যক্রম হাতে নেয়ার সুপারিশ ডবিøউএইচও করছে না বলে জানান তেদরোস। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত কারও মারা যাওয়ার তথ্য ডবিøউএইচওর কাছে নেই বলে জানান তিনি। তবে তিনি বলেন, স্থানীয় রোগ নয়, এমন দেশগুলোয় মাঙ্কিপক্স সত্যিকার অর্থেই ঝুঁকির বিষয় হয়ে উঠছে।

আফ্রিকার ৯টি দেশে মাঙ্কিপক্স স্থানীয় রোগ হিসেবে বিবেচিত। তবে গত মাস থেকে আফ্রিকার বাইরে দুই ডজনের বেশি দেশে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ দেশ ইউরোপের। মাঙ্কিপক্স সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাজ্য, স্পেন ও পর্তুগালে। তেদরোস বলেন, এসব দেশে এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে কারও মৃত্যু হয়নি, তবে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন সমকামী পুরুষরা। কিছু দেশে মাঙ্কিপক্সের সামাজিক সংক্রমণের (কমিউনিটি ট্রান্সমিশন) তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কিছু দেশে নারীরাও মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন।

জ্বর, গায়ে ব্যথা ও আকারে বড় বসন্তের মতো গায়ে গুটি গজিয়ে ওঠাকে আপাতত মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মাঙ্কিপক্সের একটি রূপ এতটাই ভয়ংকর যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১০ শতাংশ তাতে মারাও যেতে পারেন। তবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যান। এ রোগে প্রাণহানির সংখ্যা খুবই কম। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার কিছু দেশে হাজার মানুষ এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।