নিজস্ব প্রতিবেদক: আফ্রিকা থেকে কয়েকজন দেশে ফিরে ভুল ঠিকানা দিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানান, তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর এ কারণে যেসব দেশে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে, সেসব দেশ থেকে আসা লোকজনের ব্যাপারে বেশি কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ডেল্টার চেয়েও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ওমিক্রন। ওমিক্রনের সংক্রমণ রোধে সরকার সতর্ক অবস্থানে আছে। তবে দুঃখের বিষয়, গত এক মাসে ২৪০ জন আফ্রিকা থেকে দেশে এসেছেন। এখন তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের ফোনও বন্ধ।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) করোনাভাইরাসের নতুন ধরন (ভ্যারিয়েন্ট) ওমিক্রন নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে যারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসেছেন, তারা যেভাবে এয়ারপোর্ট থেকে সোজা বাড়িতে চলে গেলেন, এভাবে যদি ওসব দেশ থেকে আরও লোকজন আসেন তাহলে কি তারা সরাসরি বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকবেন নাকি ব্যবস্থা নেয়া হবেÑসাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তারা তো আগে চলে গেছে বাড়িতে। আমরা তো ওমিক্রন সম্বন্ধে জানলামই সাত দিন হলো। সবকিছু বলার আগেই তো ওখানে চলে গেছে। এরই মধ্যে আমরা ডিজি হেলথকে নির্দেশনা দিয়েছিলাম। তারা ১৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। ন্যাশনাল টেকনিক্যাল কমিটিও পরামর্শ দিয়েছে।
আফ্রিকা থেকে আসা লোকজনের ভুল ঠিকানা দেয়াতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই যে লোকজন আমাদের ফাঁকি দিয়ে চলে গেল। আমরা অ্যাড্রেস করতে পারছি না। তারা ওই দেশ থেকে এসেছে, মোবাইল ফোনটাও বন্ধ করে রেখেছে, ভুল ঠিকানা দিয়েছেÑএই জিনিসগুলো কী রকম! এজন্য আমরা ওইসব দেশ থেকে আসা লোকজনের ব্যাপারে বেশি কড়াকড়ি করব। যারা আফ্রিকার দেশগুলো থেকে আসবে, তারা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে তো থাকবেই। আমরা ওখান থেকে আসতেই নিরুৎসাহিত করব।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ম্যানেজমেন্টকে শক্ত হতে হবে। আমরা চাই সেনাবাহিনী সেই কোয়ারেন্টাইন ম্যানেজ করবে। আগত ব্যক্তিকে নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে। পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইনের খরচ তাকেই বহন করতে হবে। কেউ খরচ বহন করতে না পারলে, সেটা বিবেচনা করা হবে।