নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ আগামী ১০ মে (বৃহস্পতিবার) মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সময় ১০ মে বিকাল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় ১১ মে রাত ৩টায়) ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হবে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের চূড়ান্ত দিনক্ষণ আমাদের জানিয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় ১০ মে বিকাল ৪টায় বন্ধবন্ধু ১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হবে।
এ বিষয়ে টুইটারে স্পেসএক্স বলছে, আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের আগে ফ্যালকন-৯ এর স্ট্যাটিক ফায়ার সম্পন্ন হয়েছে। রকেটটি ত্রুটিমুক্ত রয়েছে। তবে তথ্য পর্যালোচনার জন্য কয়েক দিন সময় লাগবে। তথ্য পর্যালোচনা শেষ হলে উৎক্ষেপণের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
তথ্যমতে, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্পেসএক্সের নতুন ভার্সনের ফ্যালকন-৯ রকেটের জোরালো শব্দ শোনা গেছে কেনেডি স্পেস সেন্টারের ব্লক ৫-এ। এর ফলে বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পথ তৈরি হয়েছে, যা আগামী সপ্তাহে হতে পারে।
এর আগে, ৫ মে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের কথা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ হতে পারে এ আশঙ্কায় তা পিছিয়ে যায়। এ ব্যাপারে বিটিআরসির চেয়ারম্যান সম্প্রতি বলেছিলেন, স্পেসএক্স জানিয়েছে ৫ মে নয়, ৭ মে মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানো হবে। সে তারিখেও স্যাটেলাইট পাঠানো সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে একাধিকবার (অন্তত ৬-৭ বার) উৎক্ষেপণের তারিখ পরিবর্তন হয়েছে।
জানা যায়, স্যাটেলাইটটি নির্মাণ করেছে ফ্রান্সের থ্যালাস অ্যালেনিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান। স্যাটেলাইটের কাঠামো তৈরি, উৎক্ষেপণ, ভূমি ও মহাকাশের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, ভূ-স্তরে দুটি স্টেশন পরিচালনার দায়িত্ব এ প্রতিষ্ঠানটির। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। স্যাটেলাইটে থাকছে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার। এগুলোর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ২০টি ব্যবহার করবে বাংলাদেশ। অন্যগুলো ভাড়া দেওয়া হবে। স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এর গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি করা হয়েছে গাজীপুর ও রাঙামাটিতে।
