নিজস্ব প্রতিবেদক: বেশ কিছুদিন ধরে রাজধানীর বাজারগুলো শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। গত কয়েক সপ্তাহে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল ছিল। তবে গতকাল শুক্রবার বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দামে পরিবর্তন দেখা গেছে। সরবরাহ ভালো থাকলেও বেড়েছে সবজির দাম। আর এতে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন রাজধানীবাসী। অন্যদিকে বরাবরের মতো সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ পণ্যের দাম কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা করে বেড়েছে। সবজি ব্যবসায়ী সোহাগ বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ কমতে শুরু করেছে। মাঠ পর্যায়ে উৎপাদন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। ফলে সবজির দাম বাড়ছে। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে পণ্যের দাম ওঠা-নামা করবেÑএটাই স্বাভাবিক। তবে অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে মনিটরিংয়ের দরকার। হাতিরপুল বাজারে আসা ক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, শীত মৌসুম আসার পর প্রথমদিকে সবজির দাম কিছুটা বাড়তি ছিল। এরপর আস্তে আস্তে দাম কমেছিল। এখন আবার দাম বাড়ছে। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে বাজার মনিটরিং অত্যন্ত প্রয়োজন।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, কালো বেগুনের দাম ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা করে বেড়েছে। এর মধ্যে সাদা বেগুন ৬০, প্রতি কেজি শিম ৪০-৫০, টমেটো (ইন্ডিয়ান এলসি) ৩৫, গাজর ৪০, ঢেঁড়স ৮০, ঝিঙ্গা ৮০, করলা ৫৫-৬০, কাঁকরোল ৫০, শসা ৪০-৫০, কচুরমুখী ৬০, আলু ২৫ এবং পেঁপে ১৫ টাকা থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতি কেজি মুলা ৩০, চালকুমড়া ১৫, কচুরলতি ৬০, পেঁয়াজ কলি ১৫, পটোল ৪০, শালগম ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিটি ফুলকপি ৪০, বাঁধাকপি ৩০-৩৫, লেবু প্রতি হালি ১৫-২৫, প্রতি আঁটি পালং শাক ১৫, লালশাক ১৫, পুঁইশাক ২০ এবং লাউশাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
Add Comment