নিজস্ব প্রতিবেদক: কয়েক দিনের বিরতি দিয়ে লেনদেনে আবারও চালকের আসনে ফিরেছে বিমা খাত। করোনাকালে প্রথম থেকেই দুই খাতের শেয়ারে আগ্রহ ছিল বিনিয়োগকারীদের। এই খাত দুটি হচ্ছে বিমা এবং ওষুধ ও রসায়ন। সম্প্রতি অন্য খাতের শেয়ারে ঝুঁকে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। ফলে মাঝখানে এ দুই খাতের শেয়ার চাহিদায় কিছু ভাটা পড়ে। তবে গতকাল আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিমা খাত।
গতকালের পুঁজিবাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায, এদিন বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে ছিল বিমা খাত। মূলত কয়েক দিন এই খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কম থাকায় এখন এ খাতের শেয়ার ক্রয় করতে চাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। যে কারণে গতকাল সকাল থেকেই বিমা খাতের শেয়ারে তুলনামূলক বিক্রেতার আকাল দেখা যায়। পক্ষান্তরে বাড়তে থাকে ক্রয় আদেশ। যে কারণে এই খাতের কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে থাকে। যার জের ধরে দিন শেষে বাড়তে দেখা যায় এই খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। মোট লেনদেনেও সবার ওপরে অবস্থান করে এ খাতটি। গতকালের মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান দেখতে পাওয়া যায় প্রায় ২২ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় প্রায় ১৭ শতাংশ।
এদিকে গতকাল প্রকৌশল খাতেও বিনিয়োগকারীদের বেশ আগ্রহ দেখা যায়। বিমার মতো এই খাতের কোম্পানির শেয়ারও বিনিয়োগকারীদের সন্তোষজনক হারে বিনিয়োগ বাড়াতে দেখা যায়। লেনদেনে বেশ ভালো অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত।অধিকাংশ বিনিয়োগকারীরা গতকাল এ খাত থেকে মুনাফা তুলেছেন। দিন শেষে মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ। এছাড়া বস্ত্র এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের শেয়ারেও আগ্রহ দেখা যায় বিনিয়োগকারীদের।
অন্যদিকে ডিএসইতে গতকাল লেনদেন কিছুটা কমলেও দিন শেষে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। গতকাল লেনদেনে শেষে আট পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে পাঁচ হাজার ১০০ পয়েন্টে। এর মধ্য দিয়ে ডিএসইর সূচক এক বছর আগের অবস্থানে ফিরে গেল।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট ৯৯৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হতে দেখা যায়। এর মধ্যে ৫৪ কোটি টাকা ছিল ব্লক মার্কেটের লেনদেন। গতকাল এই মার্কেটে মোট ৩১টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ গ্রহণ করে।