শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার বিরুদ্ধে উত্তাল আন্দোলন চলার মধ্যেই এবার আটলান্টায় পুলিশের গুলিতে রেইশার্ড ব্রুকস নামে আরেক কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হয়েছেন। গত ১২ জুন রাতে ২৭ বছর বয়সি ওই তরুণ নিহত হন। এ ঘটনায় এরই মধ্যে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন আটলান্টার পুলিশপ্রধান। খবর: বিবিসি।
ব্রুকস ১২ জুন রাতে ওয়েন্ডির একটি ফাস্টফুড রেস্তোরাঁর কাছে তার গাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিলেন। রেস্তোরাঁর কর্মীরা পুলিশকে ফোন করে অভিযোগ জানান, এভাবে শুয়ে থাকায় তাদের গ্রাহকরা ওই লেনে গাড়ি চালাতে পারছেন না।
নজরদারি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ বিশ্লেষণের পর পুলিশের এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ‘কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চলাকালে ব্রুকস এক পুলিশকর্মীর বন্দুক কেড়ে নেন এবং পালাতে চেষ্টা করেন। কর্মকর্তারা তাকে তাড়া করলে ব্রুকস পুলিশের দিকে বন্দুক তাক করেন। তখন গুলি চালাতে বাধ্য হন পুলিশকর্মী।’ ব্রুকসকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তবে অস্ত্রোপচারের পর তিনি মারা যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজনের ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, রেস্তোরাঁর সামনের রাস্তায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন ব্রুকস। এরপর মুক্ত হয়ে পার্কিং লট দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন। এ সময় তার হাতে পুলিশের একটি টেইজার বন্দুক ছিল বলে মনে হয়েছে।
রেস্তোরাঁর সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা দ্বিতীয় আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, দৌড়ানো অবস্থায় ঘুরে পেছনে আসা দুই পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে একজনের দিকে সম্ভবত টেইজার বন্দুক তাক করছেন ব্রুকস, আর দুই পুলিশের মধ্যে কোনো একজনের গুলিতে তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়ছেন।
এ ঘটনার জেরে শনিবার আটলান্টার একটি প্রধান মহাসড়ক বন্ধ করে দেন বিক্ষোভকারীরা। ওয়েন্ডির ওই রেস্তোরাঁটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। শনিবার আটলান্টার মেয়র কেইশা লান্স বটমস জানান, ব্রুকসের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নগরীর পুলিশপ্রধান এরিকা শিল্ডস তাৎক্ষণিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। পুলিশ বিভাগে অন্য ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
আইনজীবীর দাবি, ব্রুকস পুলিশের বিরুদ্ধে টেইজার বন্দুক ব্যবহার করলেও আটলান্টা পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার কোনো অধিকার ছিল না, কারণ টেইজার প্রাণঘাতী অস্ত্র নয়।