নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত দেশে আবার আগুন-সন্ত্রাস শুরু করেছে। সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে হামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শনিবার সারাদেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের কর্মসূচি ছিল। সেখানে দেখলাম সিরাজগঞ্জসহ কয়েক জায়গায় আগুন-সন্ত্রাস চালানো হয়েছে। সিরাজগঞ্জে কয়েকটি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। এটা কারা করেছে? বিএনপি-জামায়াত আবার আগুন-সন্ত্রাস শুরু করেছে।’
গতকাল রোববার বিকালে রাজধানীর খিলগাঁওস্থ জোড় পুকুর মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আন্দোলনের স্রোতে হারিয়ে গেছে। বিএনপির আন্দোলন এখন গুরুতর আহত। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন ফিরে পেতে তারা মরিয়া হয়ে পড়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়কের দিবাস্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নেই। বিএনপি মার্কা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগ চায় না। বাংলাদেশে আর কোনো দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরবে না।
তিনি বলেন, নারীদের মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন না। দেশে আফগানি অবস্থা চালু করবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুলের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির প্রমুখ।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হবে। ডিসেম্বরে নির্বাচন। ক্ষমতায় যেতে গেলে নির্বাচনে আসতে হবে। বিএনপি নেতারা তলে তলে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, কোনো অবস্থায় দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ যখন দেশে উন্নয়ন করছে, বিএনপি তখন ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। নির্বাচনে বিএনপি না এলে অস্তিত্ব বিলীন হবে।