মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: ঘুরে ফিরে আবার চালকের আসনে ফিরেছে বিমা খাত। কয়েক দিন আগে এ খাতের শেয়ার চাহিদায় কিছুটা ভাটা পড়লেও এখন আবার এর চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি লেনদেনে এ খাতের উল্লেখযোগ্যহারে অবদান দেখা যাচ্ছে। গতকালও এর ব্যতিক্রম ছিল না।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ছিল বিমা খাতের শেয়ার। অন্যান্য খাতের তুলনায় এ খাতের শেয়ারে ক্রয়াদেশ বেশি ছিল, যার জের ধরে বাড়তে থাকে খাতটিতে তালিকাভুক্ত সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই ধারা লক্ষ্য করা যায়। দিন শেষে মোট লেনদেনে বিমা খাতের একক আধিপত্য দেখা যায় ১৭ শতাংশের বেশি।
লেনদেনে এর পরের অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান দেখতে পাওয়া যায় প্রায় ১২ শতাংশ।
অন্যদিকে লেনদেনে ১০ শতাংশের বেশি একক অবদান রেখে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করতে দেখা যায় আর্থিক খাতকে। এছাড়া মোট লেনদেনে ওষুধ ও রসায়ন খাত ৯ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সমর্থ হয়।
এদিকে গতকাল ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক। দিন শেষে প্রধান সূচক বৃদ্ধি পেতে দেখা যায় ১৪ পয়েন্ট। লেনদেন শেষে সূচকের অবস্থান হয় সাত হাজার ২০৫ পয়েন্ট। পাশাপাশি দর বাড়ে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর।
অন্যদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট এক হাজার ৭৬২ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে প্রায় ২৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে ব্লক মার্কেটে। এ মার্কেটে মোট ৩৬টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সব চেয়ে বেশি সাত কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয় বেক্সিকোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিন কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ এক কোটি ৭০ লাখ ৫৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয় গ্রামীণফোনের।