আবাসন খাতে এগিয়ে শামসুল আলামিন রিয়েল এস্টেট

বিকশিত হচ্ছে বাংলাদেশের আবাসন শিল্প। এ শিল্প বিকাশের সঙ্গে নির্মিত হচ্ছে অনেক সুউচ্চ ভবন। বাংলাদেশ সরকার এ খাতের উন্নয়নে বেশ আন্তরিক। সঙ্গত কারণে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে শিল্পটি। এ অবস্থানে আসার পেছনে সরকারের পাশাপাশি যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভূমিকা রাখছে তার মধ্যে অন্যতম শামসুল আলামিন রিয়েল এস্টেট লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ মানুষের আবাসন চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করছে।

দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে শামসুল আলামিন রিয়েল এস্টেট লিমিটেড। বর্তমানে তাদের দ্বিতীয় প্রজš§ ব্যবসা পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার জন্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও কর্মীরা বেশ আন্তরিক। তাদের কর্মদক্ষতার কারণে দেশের সেবা ও আবাসন খাতে এক বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে শামসুল আলামিন রিয়েল এস্টেট লিমিটেড।

শামসুল আলামিন রিয়েল এস্টেটের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন একে শামসুল আলামিন। তার হাতেই গড়ে ওঠে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৯২ সালের ৩ অক্টোবর প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয় শামসুল আলামিন রিয়েল এস্টেট। প্রায় ১০ বছর পর বাণিজ্যিক কার্যক্রমে আসে। ২০০৩ সালে দেশের আবাসন খাতে চমক দিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। ওই বছরের ১ জানুয়ারি তারা কর্মকাণ্ড শুরু করেÑতখন বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য জমি কেনে। এর পাশাপাশি শপিংমল ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের কাজও শুরু করে। ‘উত্তম আবাসন উত্তম জীবন’ সেøাগান নিয়ে শুরু হয় তাদের পথচলা। সেই শুরু। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। অল্প সময়ের মধ্যে দেশের আবাসন খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। সুনামের সঙ্গে এক যুগের বেশি সময় ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে এসএআরই। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয় শামসুল আলামিন রিয়েল এস্টেট লিমিটেড।

প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন জাহাঙ্গীর আলামিন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক।

ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন আলমগীর শামসুল আলামিন। তিনি পড়ালেখা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১৬ সালে আবাসন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) ২০১৬-১৮ মেয়াদি নতুন পরিচালনা পর্ষদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এতে আলমগীর শামসুল আলামিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। তার কর্মপরিধির ওপর আস্থা রয়েছে দেশের আবাসন ব্যবসায়ীদের। তিনি দেশের আবাসন খাতের ব্যবসার বর্তমান অবস্থা, গৃহঋণ ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আবাসন ব্যবস্থার উন্নতিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

২০১৭ সালের এক অনুষ্ঠানে বুক বিল্ডিং পদ্ধতির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৮০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহের পরিকল্পনা করে প্রতিষ্ঠানটির। এ অর্থের ৭৭ শতাংশ ব্যবসা সম্প্রসারণে বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ এর অংশ হিসেবে চলমান বাণিজ্যিক ও আবাসিক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেবেন তারা।

ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুসারে, শামসুল আলামিন রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি থ্রি’। প্রতিষ্ঠানটির রেজিস্ট্রার টু দ্য ইস্যুর দায়িত্বে রয়েছে বানকো ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। নিরীক্ষক এসএফ আহমেদ অ্যান্ড কোং।

শহর ও উপ-শহরের জনগণের আবাসন সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে নগরীতে উন্নতমানের আবাসন সুবিধা দিচ্ছে তারা। প্রতিষ্ঠানটির আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্পগুলো নগরীর সবচেয়ে সুবিধাজনক জায়গায় অবস্থান করছে, যা অন্যদের চেয়ে ভিন্নতার দাবিদার।

প্রতিষ্ঠানটির অনন্য দিক হচ্ছে, সাধারণ মানুষের সামর্থ্যরে মধ্যে গুণগত মানে সেরা আবাসন ব্যবস্থা করা। তাদের সব প্রকল্প সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির বিপণন কার্যক্রমেও রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। এ কারণে তাদের ব্র্যান্ড সারা দেশে পরিচিতি লাভ করেছে।

“আবাসন খাতে বিনিয়োগ করলে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বাড়বে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। দ্রুত দেশের উন্নতি হবে। তাই মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা ও দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

বাসস্থান মানুষের মৌলিক অধিকার। এ অধিকার প্রতিষ্ঠাই আমার মূল লক্ষ্য। স্বল্প আয়ের মানুষের আবাসন চাহিদা মেটানোর দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আমি।”

আলমগীর শামসুল আলামিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক