আবাসন প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে বেক্সিমকো

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লিমিটেড (বেক্সিমকো) মায়ানগর নামে একটি আবাসন প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে। শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেড নামের একটি কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বেক্সিমকো। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রোববার (১০ মার্চ) অনুষ্ঠিত বেক্সিমকোর পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে মায়ানগর প্রকল্প বাস্তবায়নে শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি এবং ওই প্রকল্পে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই বৈঠকে জিরোকুপন বন্ড ইস্যু করে এক হাজার পাঁচশ কোটি টাকা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যার একটি বড় অংশ মায়ানগরে বিনিয়োগ করা হবে।

এর আগে আলোচিত মায়ানগর প্রকল্পের অপর উদ্যোক্তা শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেড বন্ড ছেড়ে এক হাজার দুইশ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ডের গ্যারান্টার। বেক্সিমকোর কর্ণধার সালমান এফ রহমান আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান। বেক্সিমকো ও শ্রীপুর টাউনশিপের মায়ানগরে কী কী থাকবে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রকাশ করেছে বেক্সিমকো। আলোচিত প্রকল্পের আয়তন হবে প্রায় ১০০ একর। নবীনগর-চন্দ্রা হাইওয়ের পাশে এ প্রকল্পের অবস্থান। প্রকল্পটি হবে বহুমুখী ব্যবহার উপযোগী। একদিকে এটি হবে আবাসিক প্রকল্প। অন্যদিকে প্রকল্পের ভেতরে থাকবে হোটেল, সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট, কনভেনশন সেন্টার, শপিং মল প্রভৃতি। আলোচিত প্রকল্পে ১৮ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট থাকবে। এতে থাকবে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও বিনোদন-সংক্রান্ত নানা ব্যবস্থা, শপিং মল প্রভৃতি। বাণিজ্যিক অংশের আয়তন হবে ৫০ লাখ বর্গফুট। পুরো প্রকল্পটি হবে সবুজ ও পরিবেশবান্ধব। আলোচিত প্রকল্পের ৭৫ শতাংশের মালিক হবে বেক্সিমকো লিমিটেড। আর বাকি ২৫ শতাংশের মালিক শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেড। এই অনুপাতে প্রকল্পের মুনাফা ভাগ হবে।

আলোচিত প্রকল্পের ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট ও সুপারভিশনের জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আর্কিটেক্টকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এদিকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৭ টাকা ৯২ পয়সা। আর ৩০ জুন ২০২৩ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৯৫ টাকা ১৪ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ৪২ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৪ টাকা ৩২ পয়সা। আর ৩০ জুন ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৯১ টাকা ১৯ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৫৬ পয়সা। এছাড়া ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৭ টাকা ৫৩ পয়সা। আর ৩০ জুন ২০২১ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৮ টাকা ২৮ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৩ পয়সা লোকসান।

‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। তিন হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৯৮ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৭ হাজার ৩৮৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৮৯ কোটি ৮২ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪১ শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৩ দশমিক ১১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩২ দশমিক ৬৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৩ দশমিক ২৬ শতাংশ রয়েছে।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০