শেয়ার বিজ ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে প্রত্নতাত্ত্বিকরা লৌহযুগ ও প্রাক-ইসলাম যুগের তলোয়ার ও সিরামিকসহ বেশ কিছু প্রত্ননিদর্শন আবিষ্কার করেছেন। দেশটির বার্তা সংস্থা আমিরাত নিউজ এজেন্সির (ডব্লিউএএম) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রাক-ইসলাম যুগের একটি কবরস্থান খনন করার পর ১৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৬০০ খ্রিষ্টাব্দের এ প্রত্নবস্তুগুলো খুঁজে পান।
কবরস্থানটিতে প্রায় ২০টি কবর ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেখান থেকে আবিষ্কার হওয়া প্রতœনিদর্শনগুলোর মধ্যে রয়েছেÑঅ্যামফোরা (এক ধরনের জগ), ব্রোঞ্জের বাটি এবং অন্যান্য সিরামিক। বর্শা, তীর ও তলোয়ারসহ বেশ কয়েক ধরনের অস্ত্রও পাওয়া গেছে। কবরস্থান থাকায় প্রতœতত্ত্ববিদরা ধারণা করছেন, এর আশপাশে সে সময় বসতি গড়ে উঠেছিল।
আল আইন, খরাইস, কাত্তারা ও হিলি অঞ্চলগুলো থেকে লৌহ যুগের স্মারক সমাধিসহ একটি কবরস্থান খুঁজে পেয়েছেন খননকারীরা। সেখানে কমপক্ষে ৩৫টি কবর ছিল। প্রাক-ইসলামি সমাধি এবং লোহার অস্ত্রের ভাণ্ডারও আবিষ্কার করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
খুঁজে পাওয়া অন্যান্য নিদর্শনের মধ্যে রয়েছেÑসেচব্যবস্থার যন্ত্রপাতি, গহনা ও শেলস। এর আগে গত বছরে আমিরাতের উপকূলের একটি দ্বীপে প্রাচীন একটি খ্রিষ্টান মঠ আবিষ্কৃত হয়। সিনিয়াহ দ্বীপের মঠটি পারস্য উপসাগরের তীরে প্রাথমিক খ্রিষ্টধর্মের ইতিহাসে নতুন দিশা দেখায়। উম
আল-কুওয়াইনের শেখডমের অংশ সিনিয়াহ। আমিরাতে পাওয়া দ্বিতীয় মঠ এটি। প্রায় এক হাজার ৪০০ বছরের মঠটি যখন তৈরি হয়, তখন মরুভূমির বিস্তার ঘটেনি। এখনকার মতো সমৃদ্ধ তেল শিল্পের সূচনাও হয়নি। আবুধাবি ও দুবাইয়ের আকাশছোঁয়া অট্টালিকা তখন কল্পনার বাইরে ছিল।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এই খননকাজে অর্থায়ন করেছে। খননের কাজ এখনও চলছে। প্রতœতাত্ত্বিকরা বিশ্বাস করেন, গির্জা থেকে মাত্র কয়েকশ মিটার (গজ) দূরে, ভবনগুলো প্রাক-ইসলাম গ্রামের অংশ ছিল।
দ্বীপটি শাসক পরিবারের সম্পত্তির অংশ। আমিরাতের বেশিরভাগ অংশ দ্রুত বিকশিত হয়েছে। তাই এসব স্থান আবিষ্কার করে সংরক্ষণের চেষ্টা চলছে।