নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আবুল খায়ের গ্রুপের মালিকানাধীন সিমেন্ট ক্লিংকারবোঝাই একটি জাহাজ ডুবে গেছে। এতে ওই জাহাজের নাবিকসহ অন্তত সাতজন নিখোঁজ হয়েছেন বলে কোস্টগার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। গতকাল ভোররাতে বহির্নোঙরের আলফা অ্যাংকারেজে নিজেদের মালিকানাধীন এমভি টিটু-১৪ নামের লাইটার জাহাজটি ডুবে যায়। এতে সাতজন নিখোঁজ হন। এর আগে বেশ কয়েকবার আবুল খায়ের গ্রুপের একাধিক জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম বন্দর ও কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে সিমেন্ট ক্লিংকারবোঝাই জাহাজটি পারকি সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি দোভাষীবাজারের অদূরে বঙ্গোপসাগরে জাহাজটি ডুবে যায়। এমভি টিটু-১৪ নামে জাহাজটি সিমেন্ট ক্লিংকারবোঝাই বলে জানালেও সেটির এবং দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেনি কোস্টগার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে ক্রু ও শ্রমিকসহ ১৪ জন ছিলেন। এ ঘটনায় আটজনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও বাকিরা এখনও নিখোঁজ। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে বন্দরে জাহাজ আসা-যাওয়ায় কোনো সমস্যা নেই।
এ বিষয়ে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট এম আব্দুর রউফ বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আবুল খায়ের গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজটিতে সিমেন্টের কাঁচামাল ছিল। উদ্ধার হওয়া লোকজনের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, বালিবাহী বার্জের ধাক্কায় জাহাজটি ডুবে যায়। আমরা সাতজনকে জীবিত উদ্ধার করেছি। একজন নিজেই সাঁতার কেটে উঠেছেন। বাকিরা নিখোঁজ। তাদের উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা চলছে।’
অপরদিকে আবুল খায়ের গ্রুপের শিপিং-সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘জাহাজটি সিমেন্টের কাঁচামাল নিয়ে আবুল খায়ের গ্রুপের শাহ সিমেন্টের মুন্সীগঞ্জ ফ্যাক্টরিতে যাচ্ছিল। যাত্রাপথে এটি পারকি বিচের কাছে ডুবে যায়। জাহাজে মোট ১৩ নাবিক-ক্রু ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন মাস্টার, একজন চালক, দুজন সুকানি, দুজন ব্রিজার, ছয়জন লস্কর ও একজন বাবুর্চি ছিলেন। এখন পর্যন্ত আটজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারের জন্য কোস্ট গার্ড চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরাও সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজ-খবর রাখছি।’
