শোবিজ ডেস্ক: আবৃত্তিশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা কাজী আরিফ ক্লিনিক্যালি ডেড বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গতকাল তার মেয়ে আনুশকা বলেন, ‘চিকিৎসকরা বলেছেন, তিনি ক্লিনিক্যালি ডেড। সকালে তার লাইফ সাপোর্ট খোলা হবে।’
নিউইয়র্কে অবস্থানরত বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ বলেন, ‘ডাক্তাররা তাকে (কাজী আরিফ) ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেছেন। আগামীকাল লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়ার পর অন্য সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ কাজী আরিফের হার্টের বাল্ব অকেজো হলে তাকে ম্যানহাটনের মাউন্ট সিনাই সেন্ট লিওক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত মঙ্গলবার বাল্ব পুনঃস্থাপন ও আর্টারিতে বাইপাস সার্জারি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নেওয়া হয়। এখনও সেখানে রয়েছেন তিনি।
গত ২১ এপ্রিল কাজী আরিফ নিজেই তার অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন। ওই দিন এক টুকরো বার্তায় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এখন হাসপাতালের শয্যায়। আগামী ২৫ তারিখ আমার ওপেন হার্ট সার্জারি হবে। মিট্রাল ভাল্ব রিপ্লেস/রিপেয়ার করবে, আর একটা আর্টারির বাইপাসও হবে। এটি দ্বিতীয় দফা। হাসপাতালের নাম মাউন্ট সিনাই সেন্ট লিওক্স হসপিটাল।’
কাজী আরিফের জন্ম ১৯৫২ সালের ৩১ অক্টোবর ফরিদপুরের রাজবাড়ীতে। বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রাম শহরে। পড়াশোনা, রাজনীতি, শিল্প-সাহিত্য এসব কিছুরই হাতেখড়ি হয় সেখানে।
তিনি একাধারে একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আবৃত্তিকার, লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক।
১৯৭১ সালের ১ নম্বর সেক্টরের মেজর রফিকুল ইসলামের কমান্ডে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এরপর যুদ্ধ শেষে বুয়েটে লেখাপড়া শুরু করেন আর সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে থাকে তার শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চা। তিনি বাংলাদেশের আবৃত্তিশিল্পের অন্যতম রূপকার।
Add Comment