বাংলাদেশের অন্যতম ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক। প্রতিষ্ঠানটি দেশের ডিজিটাল উদ্যোগকে পৃষ্ঠপোষকতার উদ্দেশ্যে তাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম আইটি ইনকিউবেটরের তৃতীয় ব্যাচের স্টার্টআপ বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বাংলালিংক ও সরকারের আইসিটি বিভাগের অধীনস্থ বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এ কার্যক্রম শুরু করে ২০১৬ সালে।
বাংলালিংক নির্বাচিত স্টার্টআপগুলোকে অবকাঠামো, উপকরণ ও নির্দেশনাগত সহায়তা দিয়ে থাকে। প্রাথমিকভাবে স্টার্টআপগুলোকে তাদের অভিনব পরিকল্পনা, ব্যবসায়িক সম্ভাবনা ও দলগত শক্তিমত্তার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিত স্টার্টআপগুলো তাদের সব কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জনতা টাওয়ারে অফিস স্পেসের সুবিধা ও অনলাইনে শিক্ষা সহায়তামূলকা কার্যক্রমে বিনা খরচে অংশ নেওয়ার সুযোগের পাশাপাশি অন্য উপকরণগত সুবিধাও পাবে। প্রতিশ্রুতিশীল স্টার্টআপগুলো বাংলালিংকের সঙ্গে অংশীদারিত্ব উপভোগের সুযোগও পাবে। অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য ভিজিট করতে হবে https://incubator.banglalink.net/ এই ঠিকানায়।
আইটি ইনকিউবেটর বাংলালিংকের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওনের ফ্ল্যাগশিপ করপোরেট রেসপনসিবিলিটি প্রোগ্রাম ‘মেক ইওর মার্ক’-এর অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথোরিটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হোসনে আরা বেগম এনডিসি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে হাইটেক পার্ক অথোরিটি কয়েক বছর ধরে বেশ কয়েকটি প্রকল্প পরিচালনা করে আসছে। জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলোজি পার্ক একটি অন্যতম প্রকল্প, যা দেশের স্টার্টআপকে সহযোগিতার পাশাপাশি ডিজিটাল অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। তরুণ প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার লক্ষ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবা সংস্থা বাংলালিংককে আমরা স্বাগত জানাই। প্রোগ্রামটির মাধ্যমে স্টার্টআপগুলো উপকৃত হবে।
বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, আমরা উদ্যমী প্রযুক্তিবিদ ও তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য স্টার্টআপ স্কাউটিং প্রোগ্রাম আইটি ইনকিউবেটরের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করতে পেরে আনন্দিত। আমরা চাই উদ্ভাবনী শক্তির সঙ্গে উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে এমন তরুণরা এ প্রোগ্রামে অংশ নিক। ভবিষ্যতে তাদের সার্বিক উন্নতি নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।