আমদানিমূল্য ৪৫ ডলার শুল্কায়ন ৬০ ডলারে

সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম: সিমেন্ট তৈরির মূল কাঁচামাল ক্লিংকার, সø্যাগ ও জিপসাম প্রায় শতভাগ আমদানি করতে হয়। এর মধ্যে ক্লিংকার প্রতি টন ৪৬ থেকে ৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও এ ক্লিংকারের আমদানি মূল্য ৬০ ডলার ধরে শুল্কায়ন করছেন কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা। অপরদিকে জিপসাম প্রতি টন ২৭-২৮ ডলারে আমদানি হলেও শুল্কায়ন হচ্ছে ৩৫ ডলারে। এতে কাঁচামাল আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের বেশি শুল্ক দিতে হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত খরচ গুনছেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমএ) সূত্রে জানা যায়, ক্লিংকার, প্রতি টন ৪৬ থেকে ৫০ ডলারে আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও ক্লিংকারের আমদানি মূল্য ৬০ ডলার ধরে শুল্কায়ন করছেন কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা। অপরদিকে জিপসাম প্রতি টন ২৭-২৮ ডলারে আমদানি হলেও শুল্কায়ন হচ্ছে ৩৫ ডলারে। আবার নমুনা পরীক্ষার নামে সিমেন্ট তৈরির আরেক কাঁচামাল লাইমস্টোন আমদানির শুল্কায়নে সাত-আট দিন সময় নেয়া হচ্ছে। এতে বন্দরে জাহাজ অলস পড়ে থাকছে। এতে কাঁচামাল আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের বেশি শুল্ক দিতে হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত খরচ গুণছেন ব্যবসায়ীরা। এ শুল্কায়নে এ দুই সমস্যার সমাধান চেয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছে বিসিএমএ। চিঠিতে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট; আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলতে জটিলতা; জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের ব্যয় বৃদ্ধি এবং চাহিদার ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি এ সংকটের উল্লেখযোগ্য কারণ। এমন পরিস্থিতিতে কাঁচামালের আমদানির মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শুল্কায়ন মূল্য নির্ধারণের পাশাপাশি লাইমস্টোনের শুল্কায়ন সহজীকরণ করার অনুরোধ জানায় বিসিএমএ।

বিসিএমএ’র কয়েকজন সদস্য বলেন, অনেক দিন ধরেই এসব কাঁচামালের প্রকৃত আমদানি মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। আমরা প্রতি টন ক্লিংকারের শুল্কায়নে ৫০ ডলার, সø্যাগে ২৬ ও জিপসামে ৩০ ডলার নির্ধারণের দাবি করেছি।

এ বিষয়ে প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলসের এমডি মোহাম্মদ আমিরুল হক শেয়ার বিজকে বলেন, অনেক দিন আমাদের অতিরিক্ত শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। আমাদের উচিত ব্যবসাকে সহজীকরণ করা। কারণ আমাদের অর্থনীতি এখন বিকাশমান অর্থনীতি। দেশের ব্যাংকিং খাতে ডলার সংকট, দেশে অর্থনৈতিক মন্দা, এলসি খোলার হার কম এবং জ্বালানি সংকটে চাপে পড়েছে উৎপাদনমুখী শিল্প খাত। এতে ব্যয় বাড়লেও কমেছে বিক্রয়।

এ বিষয়ে জানার জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপ-কমিশনার বদরুজ্জামান মুন্সীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি শেয়ার বিজকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত নই। আমি জেনে জানাব।’ পরে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রশিক্ষণে আছেনÑপরে খোঁজ নিয়ে মন্তব্য করবেন বলে জানান। পরে তার মন্তব্য জানার জন্য ফোন করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০