প্রতিনিধি, হিলি (দিনাজপুর): দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির এ খবরে পাইকারি বাজারে কমতে শুরু করেছে দেশীয় পেঁয়াজের দাম। দুই দিনের ব্যবধানে দাম কমেছে প্রতিকেজিতে আট থেকে ১০ টাকা। এতে স্বস্তি ফিরেছে নিন্ম আয়ের মানুষের মাঝে।
গতকাল বুধবার সকালে বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারি দোকানগুলোয় থরে থরে সাজানো রয়েছে দেশীয় পেঁয়াজ। অনেকে আবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে মজুত করেছেন অনেক পেঁয়াজ। তবে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার আইপি প্রদান করেছে। আর অনুমতি পাওয়ায় গত মঙ্গলবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে কমতে শুরু করেছে দেশীয় পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে আট থেকে ১০ টাকা। যে পেঁয়াজ দুই দিন আগে বিক্রি হয়েছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, সেই পেঁয়াজ গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। এদিকে ব্যবসায়ীরাও বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির কারণেই দাম কমেছে।
বাজারে কয়েকজন বিক্রেতা বলেন, দীর্ঘ দুই মাস ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। এতদিন বাজারকে দেশি পেঁয়াজ নিয়ন্ত্রণ করেছে। দেশের পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ার ফলে দামটা একটু বৃদ্ধি পায়। তবে সরকার পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। আর এর প্রভাব পড়ে দেশি পেঁয়াজের ওপর। যে পেঁয়াজ আমরা দুই দিন আগে বিক্রি করেছি কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, সেই পেঁয়াজ আজকে বিক্রি করছি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। তবে কম দামে বিক্রি করায় আমাদের অনেক লোকসান হচ্ছে। কারণ আমরা ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য অনেক পেঁয়াজ কিনে রাখছি।
বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা বলেন, আমাদের সারাবছরই পেঁয়াজ কিনতে হয়, কিন্তু কোরবানির ঈদে আমাদের পেঁয়াজ বেশি লাগে। তাই বাজারে এসেছি পেঁয়াজ নিতে। এসে দেখছি পেঁয়াজের দামটা অনেকটা কমেছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে ১০ টাকা, তাই ২০ কেজি পেঁয়াজ কিনলাম। তবে এ রকম দাম কমলে আমাদের নি¤œ আয়ের মানুষের জন্য ভালোই হয়।
একজন আমদানিকারক বলেন, দীর্ঘ দুই মাস পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে গতকাল কিছু পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এ আমদানির খবরে হিলি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমতে শুরু করেছে ১০ টাকা। আমাদের আরও অনেক পেঁয়াজের এলসি করা আছে, সেগুলো এলে পেঁয়াজের দামটা অনেক কমে আসবে। তবে সরকারকে সাধুবাদ জানাই যে, দেশের জনগণের কথা চিন্তা করে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। এতে পেঁয়াজ আমদানি করে আমরাও লাভবান হব এবং সাধারণ মানুষেরও উপকার হবে।
