আমদানি পণ্যের ভেসেল কনটেইনার ট্র্যাকিং বাধ্যতামূলক

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমদানি পণ্য দেশে আসছে কি না, তা নিশ্চিত করতে এবার নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কোনো আমদানি পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে হলে এখন থেকে ব্যাংকগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে ভেসেল ও কনটেইনার ট্র্যাকিং করতে হবে। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘ফরেন একচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট’ আমদানি মূল্য পরিশোধে ঝুঁকি কমাতে এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে পাঠিয়েছে।

আমদানি পণ্য পরিবহনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার লক্ষ্যে ট্র্যাকিং কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে করে পণ্য পরিবহনের বিষয় নিশ্চিত হতে পারবে ব্যাংক। এর আগে গত ২০ এপ্রিল রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ট্র্যাকিং পদ্ধতি বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানি পণ্যের ট্র্যাকিং করা হলে আমদানি মূল্য পরিশোধে ঝুঁকি থাকে না। নতুন নির্দেশনার ফলে পণ্য

 জাহাজীকরণ ছাড়া মূল্য পরিশোধ ঝুঁকি এড়ানো যাবে। এদিকে ধারাবাহিক আমদানির ব্যয় পরিশোধের চাপে মার্কিন ডলারের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। ফলে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে ডলারের দাম। বিক্রি করেও ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল এক দিনেই ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ৮০ পয়সা। আর গত ২০ দিনের ব্যবধানে তিন দফায় ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন হয় এক টাকা ৩০ পয়সা।

এখন আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারে কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। তবে ব্যাংকগুলো নগদ ডলার বিক্রি করছে এর চেয়ে আট থেকে ১০ টাকা বেশি দরে। ব্যাংকের বাইরে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে ৯৪ থেকে ৯৮ টাকায়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০