নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বারবার নিজেদের মতো করে ‘একতরফা নির্বাচনের নাটক সাজিয়ে’ ক্ষমতা কুক্ষিগত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আগের দুটি জাতীয় নির্বাচনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেছেন, “সরকার ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নাটক সাজিয়েছে, ২০১৮ সালে নিশিরাতের ভোটে নাটক সাজিয়ে নির্বাচন নির্বাচন খেলা করেছে। এবারও তারা ‘আমরা আর মামুরা’ স্টাইলের নির্বাচনের অপচেষ্টা করছে। তারা ভেবেছে, এভাবে একতরফা নির্বাচন করে পার পেয়ে যাবে। সেটি হতে দেয়া হবে না।”
বিএনপির ডাকা নবম দফা অবরোধের মধ্যে গতকাল রোববার সকালে ঢাকার কাকরাইলে ‘ঝটিকা’ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কথা বলেন রিজভী।
সরকারের পদত্যাগসহ দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে গতকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ পালন করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের দিনে সংঘর্ষের পর থেকে ধাপে ধাপে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দিয়ে আসছে বিএনপি।
সকালে অবরোধ শুরুর ঘণ্টাখানেক পর জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মী নিয়ে কাকরাইল মোড় থেকে শান্তিনগর কর্ণফুলী মার্কেট পর্যন্ত ঝটিকা মিছিল করেন রিজভী। এরপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে চলে যান তিনি।
নির্বাচন প্রতিরোধের হুঁশিয়ারি দিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এবার দেশের জনগণ জেগে উঠেছে। গুলি করে, গ্রেপ্তার করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। জনগণ সরকারের একতরফা নির্বাচন হতে দেবে না, যে কোনো মূল্যে প্রতিরোধ করবে।’
সরকার ‘নীল নকশা সাজাচ্ছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিকে ফোকলা করে দিয়েছে। দেশের অবস্থা জনগণ জানে। কিন্তু দেশ থাকল কী থাকল না, সেটা শেখ হাসিনার কাছে বিষয় নয়, শেখ হাসিনা চায় ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে। সে জন্য একের পর এক নতুন নতুন নীলনকশার পরিকল্পনা করছে। জনগণের ভোটাধিকারকে, বাক-স্বাধীনতা জব্দ করে রেখেছে। আজকে গণতান্ত্রিক বিশ্বে ওদের (সরকার) ফ্যাসিস্ট মুখোশ উম্মোচিত হয়ে গেছে।’
রিজভীর নেতৃত্বে মিছিলে বিএনপির যুববিষয়ক সহ-সম্পাদক মীর আলী নেওয়াজ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক পাটোয়ারী, শাহ আলম, কবির উদ্দিন মাস্টার উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে সকালে পরীবাগেও ঝটিকা মিছিল হয়েছে। মিছিলে ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।