আমরা চাই আগামী প্রজন্ম যেন মাথা উচু করে দাঁড়ায়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রতিনিধি, জাবি: “আমরা মুক্তিযোদ্ধারা চাই যেন আগামী প্রজন্ম মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়”৷ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নবীন শিক্ষার্থীদের (৫২ ব্যাচের) প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি।

আজ বৃহস্পতিবার ( ৯ মে) বেলা সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ প্রবেশিকা অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি। প্রবেশিকা বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আফসানা হক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান শুরতেই, সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়া র‍্যাংকিং-২০২৪ বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করায় শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, তোমরা যারা নবীন শিক্ষার্থী আজ সামনে বসে আছো, তাঁরাই ভবিষ্যতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তোমরাই আগামী দিন বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে। আগামী দশ বছর পর দেশে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা একদম কমে আসবে। তাই আমরা মুক্তিযোদ্ধারা চাই আগামী প্রজন্ম যেন মাথা উচু করে দাঁড়ায়।

প্রবেশিকা বক্তা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা নিজ যোগ্যতায় ভর্তি হয়েছো। মানুষ কখনো জন্মগতভাবে মানুষ হয়ে উঠে না। তাকে জন্মের পর মানুষ হয়ে উঠতে হয়। তোমার আনন্দ যদি অন্যকে আনন্দ ও দুঃখ যদি অপরকে স্পর্শ করে তাহলে তুমি সার্থক। এখন তোমাদের দেশমাতৃকাকে কিছু দেয়ার পালা। দেশে বর্তমান বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষার পাশাপাশি অন্যান্য ভাষায় দক্ষতা ও প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হয়ে উঠার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

সমাপনী বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম সংস্কৃতির অবসান হয়েছে। আমি আশাবাদী শিক্ষা সমাপন শেষে শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল ছেড়ে দিবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত এ ক্যাম্পাসের শিক্ষা—গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ অব্যাহত রাখার জন্য সকলকে আন্তরিক ভূমিকা পালন করতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলায় তথ্য—প্রযু্ক্তিগত সাফল্য অর্জন করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরতেই পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আবু হাসানের পাঠক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদের ডিন ও চারটি ইনস্টিটউটের পরিচালক স্ব-স্ব শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন। একইসাথে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃঙ্খলা বিধি সম্পর্কে অবগত করেন এবং তা মেনে চলার পরামর্শ দেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজ, শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষকবৃন্দ ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০