নিজস্ব প্রতিবেদক: বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পাওয়া আমরা নেটওয়ার্কের আইপিও আবেদন আজ থেকে শুরু হচ্ছে। আগামী ১৬ আগস্ট পর্যন্ত এটি চলবে। শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আইপিওতে আবেদন করতে পারবেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, কোম্পানিটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে এক কোটি ৫০ লাখ ৪১ হাজার ২০৯টি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ৫৬ কোটি ২৫ লাখ সাত টাকা তুলবে। এ শেয়ারের মধ্যে ৬০ লাখ ২৬ হাজার ৭৮৬টি শেয়ার পাবেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা, যা মোট শেয়ারের ৪০ শতাংশ। ৩৫ টাকা দরে এ শেয়ার বিক্রি হবে। এর মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২১ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫১০ টাকা সংগ্রহ করা হবে।
আর বাকি ৬০ শতাংশ বা ৯০ লাখ ১৪ হাজার ৪২৩টি শেয়ার পাবে মিউচুয়ালসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। ৩৯ টাকা দরে এ শেয়ার বিক্রি হবে। এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে ৩৫ কোটি ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৭ টাকা।
আইপিওতে আমরা নেটওয়ার্কের মার্কেট লট ১০০ শেয়ার নিয়ে। অর্থাৎ একজন বিনিয়োগকারী একক নামে ১০০ শেয়ার কেনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর যৌথ নামের আরেকটি বিও হিসাবের বিপরীতে আরও ১০০ শেয়ারের জন্য আবেদন করা যাবে। প্রতি আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে তিন হাজার ৫০০ টাকা।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত টাকা দিয়ে কোম্পানির বিএমআরই (আধুনিকায়ন), ডেটা সেন্টার প্রতিষ্ঠা, দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়াই-ফাই হটস্পট প্রতিষ্ঠা করা, আইপিওর কাজ ও ঋণ পরিশোধ করা হবে।
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) তিন টাকা ১৬ পয়সা; শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ২১ টাকা ৯৮ পয়সা। আর পাঁচ বছরের ইপিএসের গড় করলে হয় দুই টাকা ৫২ পয়সা। ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত নিরীক্ষিত হিসাব (ছয় মাসের) অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএস এক টাকা ৬৮ পয়সা; আর এনএভি ২৩ টাকা ৬৬ পয়সা।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড। আর রেজিস্টার টু দ্য ইস্যুর দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
উল্লেখ্য, বর্তমানে আইপিও’র দুই ধরনের পদ্ধতি আছে। একটি ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতি, অন্যটি হচ্ছে বুক বিল্ডিং পদ্ধতি। ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি নিজেই শেয়ারের দর প্রস্তাব করে। ওই দর যৌক্তিক মনে করলে অন্যান্য শর্তপূরণ সাপেক্ষে কোম্পানির আইপিও অনুমোদন করা হয়। অন্যদিকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে শেয়ারের মূল্য নির্ধারিত হয়।