Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 6:44 am

আমাদের দেশে মানুষকে আইনকানুন মানানো কঠিন: নৌপ্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মানুষকে আইন ও নিয়ম-কানুন মানানো আমাদের দেশের জন্য কঠিন।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে নীতি-নির্ধারকদের কাছে প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুওর (ডরপ) ও লক্ষ্মীপুর জার্নালিস্ট ফোরাম, ঢাকা।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, লঞ্চে ধূমপান না করতে সতর্কীকরণ পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে। এখন খাদ্যের অভাব নেই। মঙ্গা নেই। গ্রামেও চা-কফি পাওয়া যায়। অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন যেকোনো চ্যালেঞ্জ নিতে পারে, সে সক্ষমতা হয়েছে। আগে এক কিলোমিটার রাস্তা তৈরির জন্য বিদেশিদের কাছে ধরনা দিতে হতো, অর্থমন্ত্রীরা সাহায্যের জন্য বছরের বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরে থাকতেন।’

তিনি বলেন, ‘এখন সেই অবস্থা নেই। অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা পারমাণবিক ক্লাবে যুক্ত হয়েছি। আগে ১০ হাজার টনের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়াতে হিমশিম খেত। এখন লক্ষাধিক টনের জাহাজ দেশের বন্দরে ভেড়ানোর সক্ষমতা হয়ে যাচ্ছে।’

স্বাগত বক্তব্যে ডরপের পরিচালক যোবায়ের হাসান তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন ও বিধিমালা প্রণয়নে রকার গৃহীত পদক্ষেপ, বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দুর্বলতা তুলে ধরে জনপ্রতিনিধিদের কাছে ৬ দফা দাবি পেশ করেন। এগুলো হলো জনসমাগমের স্থান ও গণপরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকা’ বিধান বিলুপ্ত করা; বিক্রয়স্থলে তামাকপণ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচিসহ সব ধরনের স্পনসরশিপ নিষিদ্ধ করা, বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন এবং ধোঁযাবিহীন তামাকজাত পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা; সব ধরনের ই-সিগারেট ও হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট (এইচটিপি)  নিষিদ্ধ করা এবং তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট বা কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কতার আকার বৃদ্ধি করে ৯০ শতাংশ করা।

এসব দাবি যৌক্তিক উল্লেখ করে নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, আলোচনাসভাকে পূর্ণ সফল বলা যায়। কেননা এ দাবিগুলো আমাদেরও।    

ডরপের চেয়ারম্যান ও সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আজহার আলী তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দিন, ঢাকার লক্ষ্মীপুর জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি জাকির হোসেন লিটন, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খন্দকার প্রমুখ।