নিজস্ব প্রতিবেদক: বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আমান কটন লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার ১৫ টাকা দিয়ে বিডিং শুরু হয়েছে। শুরুতে একজন ইলিজিবল ইনভেস্টর অর্থাৎ যোগ্য বিনিয়োগকারী প্রতিটি ১৫ টাকা দরে ছয় লাখ ৬৬ হাজার ৬০০টি শেয়ার ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকায় কেনার জন্য বিডিং করেছেন। গতকাল সোমবার বিকাল ৫টায় আমান কটনের বিডিং শুরু হয়, যা চলবে ৯ নভেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীই অংশ নেবেন।
এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর বিডিং অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির ৬১১তম নিয়মিত কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে ৮০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এক্ষেত্রে বিডিংয়ে যোগ্য বিনিয়োগকারী বা বিডারের জন্য আমান কটনের ৫০ কোটি টাকার শেয়ার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাকি ৩০ কোটি টাকার শেয়ার প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।
এদিকে ৫০ কোটি টাকার বিডিংয়ে কাট-অফ প্রাইস নির্ধারিত হবে। এরপর কাট-অফ প্রাইস থেকে ১০ শতাংশ কমে আইপিওতে ৩০ কোটি টাকার শেয়ার ইস্যু করা হবে।
বিডিংয়ে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীকে ৫ নভেম্বর থেকে ৯ নভেম্বর প্রত্যাশিত বিডিংয়ের ২০ শতাংশ ও পাঁচ হাজার টাকা ফি অগ্রিম জমা দিতে বলা হয়েছে। বেসরকারি সিটি ব্যাংকের হিসাবের নামÑঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও হিসাব নং-১১২১০৬৩৯৩৮০০১তে এ টাকা জমা দেওয়া যাবে।
জানা গেছে, কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থের বড় অংশ দিয়ে কারখানায় আধুনিক মেশিনারিজ ক্রয় করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৪৯ কোটি ৩৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির ২০১৬-১৭ পর্যন্ত সময়ে অনিরীক্ষিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে তিন টাকা ৪৬ পয়সা। এর আগের বছরে ছিল (নিরীক্ষিত) তিন টাকা ৩৮ পয়সা। আর চলতি বছরের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে (পুনর্মূল্যায়নসহ) ৩৯ টাকা ১২ পয়সা। যা এর আগের বছরে ছিল ৩৫ টাকা ৬৩ পয়সা।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত বছরে (অনিরীক্ষিত) কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর প্রকৃত মুনাফা হয়েছে ২৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। যা এর আগের বছরে ছিল (নিরীক্ষিত) ২৭ কোটি সাত লাখ টাকা।
আমান কটন লিমিটেডের ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। আর ইস্যু রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে আছে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।