ক্রীড়া প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার পথচলা মাত্র তিন বছর। এরই মধ্যে কত না রং দেখে ফেললেন তাসকিন আহমেদ। গত বছরের এই মার্চেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। এক বছর পর সেই মার্চেই ওয়ানডে ক্রিকেটে দেশের পঞ্চম বোলার হিসেবে এ ডানহাতি পেসার করলেন হ্যাটট্রিক। এর সঙ্গে নিজেকে নিয়ে গেলেন অন্য উচ্চতায়। হ্যাটট্রিককে জীবনের সেরা অর্জন বলছেন তাসকিন। গতকাল টিম হোটেলে সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানান তিনি।
ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে বোলিংয়ে নামে বাংলাদেশ। শুরুতে মাশরাফির হাত ধরে উইকেটের দেখা পেলেও ম্যাচের অধিকাংশ সময় টাইগার বোলারদের হতাশায় পোড়ান লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। শেষদিকে তাসকিন আহমেদ ঝলকে উপুল থারাঙ্গার দল ৩১১ রানে অলআউট হয়ে যায়। এরমধ্যে শেষ ওভারে আক্রমণে এসে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তাসকিন। বৃষ্টির কারণে পরশু ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনও হয়নি। যে কারণে তাসকিনের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। গতকাল কলম্বো যাওয়ার আগে নিজের হ্যাটট্রিক নিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে এ ডানহাতি বলেন, ‘আমার জীবনে একটা বড় অর্জন যে হ্যাটট্রিক করলাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার হ্যাটট্রিক, অবশ্যই এটি বড় পাওয়া। ভালো লাগছে। তবে আরও ভালো লাগতো যদি ম্যাচটা হতো এবং আমরা জিততে পারতাম। বৃষ্টির কারণে হয়নি। কারণ মূল লক্ষ্য তো সিরিজ জয়।’
আগেও হ্যাটট্রিক সম্ভাবনা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত পারেননি তাসকিন। জানালেন, পরশু হ্যাটট্রিকের আগে ছিলেন বেশ ফুরফুরে। এ নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘আগেও আমি বেশ কবার হ্যাটট্রিকের সামনে ছিলাম। টানা দুই বলে উইকেট নিয়ে পরে হ্যাটট্রিক হয়নি। এবার আগের থেকে অনেক রিল্যাক্সড ছিলাম। কেন জানি মনে হচ্ছিলো হয়ে যাবে। হয়েও গেল।’
যে কোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে অনেক সময় ভালো বল করেও উইকেট পান না বোলাররা। যে কারণে কিছুটা হলেও ভাগ্যের ছোঁয়া লাগে। তাইতো গত পরশু কিছুটা ভাগ্যও ছিল তাসকিনের সঙ্গে। তা না হলে হয়তো হ্যাটট্রিক আনন্দে মাতা হতো না এ স্পিড স্টারের। গতকাল এ ব্যাপারে যেমনটা বলছিলেন তাসকিন, ‘উইকেট পেতে ভালো বোলিং করতে হয় ঠিক, তবে সত্যি বলতে ভাগ্যের ব্যাপারও। শেষ বলটা যেমন ইয়র্কার ছিল, কিন্তু বোল্ড না হয়ে ব্যাটের কানায় লেগে চারও হয়ে যেতে পারত। আমার ভাগ্য ভালো ছিল বলেই হয়েছে।’