শেয়ার বিজ ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেশিরভাগ স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খবর: খালিজ টাইমস।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বলছেন, তারা ক্রমাগত সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছেন। কর্মশালাসহ বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার সম্পর্কে নির্দেশিকাও দেয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
দুবাইয়ের কিছু বেসরকারি স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল চলাকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে নিষেধ করেছে।
প্রধান শিক্ষকরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শিক্ষার্থীদের জীবনের একটি অংশ হয়ে গেছে। আমরা এর অপব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানাই। এ ধরনের প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার স্কুলের নিয়মনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এমনকি মাঝেমধ্যে ফৌজদারি অপরাধের শামিল হয়ে যাচ্ছে।
জেইএমএস আল খালিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং শিক্ষাসংক্রান্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গাদির আবু-সামাত বলেন, আমরা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সব নির্দেশিকা শেয়ার করি। এটিও গুরুত্বপূর্ণ যে স্কুল-সংশ্লিষ্ট সবাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার নিয়ে সম্পূর্ণরূপে সচেতন। স্কুলে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেয়া হয় না। স্কুল চলাকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ।
তবে কিছু স্কুল শিক্ষার্থীদের নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্কুল থেকে ছবি পোস্ট করার অনুমতি নেয়ার বিধান রেখেছে।
আমিরাতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত আইনের ব্যাখ্যা করে আবু-সামাত বলেন, স্কুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের কারণে মানহানি এবং স্কুলের সুনাম ক্ষুণœ হলে বা নেতিবাচকভাবে প্রভাব পড়লে সেজন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ধরনের আচরণ অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের মধ্যকার চুক্তিরও লঙ্ঘন।
রেপটন আল বসরা স্কুলের প্রিন্সিপাল চন্দিনি মিশ্রা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে আমাদের সমন্বিত নীতিমালা রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল মাধ্যমের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। স্কুল চলাকালে আমরা পড়ালেখা ও ব্যক্তিগত যোগাযোগের ওপর জোর দিয়ে থাকি। এ কারণে স্কুল চলাকালে সামাজিক মাধ্যমের কোনো অ্যাপ ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হয় না।
আমিরাতের শিক্ষাবিদরা শিক্ষার্থীদের অনলাইনে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন, তবে তা স্কুল চলাকালে নয়।