Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 9:56 pm

আয় বাড়লেও সম্পদ কমেছে কে অ্যান্ড কিউয়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১০ পয়সা বাড়লেও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য এক টাকা ৪৭ পয়সা কমেছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি কে অ্যান্ড কিউ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১১ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে প্রথম দুই প্রান্তিক বা প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৬ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬ পয়সা। অর্থাৎ প্রধমার্থে ইপিএস বেড়েছে ১০ পয়সা।

অন্যদিকে ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২২ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ৭৫ টাকা ৬৪ পয়সা থাকলে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৭৪ টাকা ১৭ পয়সা। অর্থাৎ ছয় মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ কমেছে এক টাকা ৪৭ পয়সা। এদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে এক টাকা ২১ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬ পয়সা।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৯ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭৫ টাকা ৬৪ পয়সা।

১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন পাঁচ কোটি ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৩২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৫১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৫৭ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩১ দশমিক ৭৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৬০ দশমিক ৮৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।