Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 11:16 pm

আরএকে সিরামিকসের কারখানায় ফের উৎপাদন চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিরামিক খাতের কোম্পানি আরএকে সিরামিকস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের কারখানায় টাইলস প্ল্যান্ট ও স্যানিটারি ওয়্যার প্রডাকশন লাইনে ফের পুরোদমে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে কোম্পানিটি এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে গত ১৬ মে কোম্পানির প্রডাকশন লাইন বন্ধ থাকার বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছিল। তখন কোম্পানিটি জানিয়েছিল, আরএকে সিরামিকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আরএকে পাওয়ার প্ল্যান্টের রুটিন সার্ভিসিং এবং রক্ষণাবেক্ষণের কারণে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন লাইনগুলোয় বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক দিনের জন্য বন্ধ থাকবে। আর এ সময় আরএকে সিরামিকস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের টাইলস প্ল্যান্টগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অধীনে থাকবে এবং চারটি উৎপাদন লাইনের মধ্যে প্রোডাকশন লাইন-১, প্রোডাকশন লাইন-২ এবং প্রোডাকশন লাইন-৪ আংশিকভাবে ১৫ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত চলতে থাকবে এবং ১৪ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ১৭ দিনের জন্য প্রোডাকশন লাইন-৩ বন্ধ থাকবে। স্যানিটারি ওয়্যার প্ল্যান্টটি ২০২২ সালের ১৫ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণের অধীনে থাকবে এবং রক্ষণাবেক্ষণের সময় স্যানিটারি ওয়্যার উৎপাদন তার ক্ষমতার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ চালু থাকবে। উল্লিখিত রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষ হওয়ার পর কোম্পানিটি প্রস্তুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উল্লিখিত প্ল্যান্টের কার্যক্রম আবার শুরু করার ঘোষণা দেবে। আর আলোচিত ওই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল কোম্পানিটি জানিয়েছে, তাদের কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম ফের পুরোদমে শুরু হচ্ছে।

এদিকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে আরএকে সিরামিকসের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১২ পয়সা, আর ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫৩ পয়সা। এছাড়া এ আর্থিক বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৩৬ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৬০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪২৭ কোটি ৯৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির  ৪২ কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ৭০১টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭২ দশমিক ১০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৬ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ১১ দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ার।