শেয়ার বিজ ডেস্ক: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো থেকে নিরাপদে খাদ্য সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর বিশ্ববাজারে ফের কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম। খবর: ইউরো নিউজ।
এর আগে খাদ্যপণ্য ও মাংসের দাম বৃদ্ধি সত্তে¡ও টানা দ্বিতীয় মাসের মতো মে মাসে খাদ্যের দাম কমেছে বলে জানায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। কভিড-১৯ মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে মার্চে খাদ্যের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায়।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো থেকে জাহাজে পণ্য পরিবহন করতে পারছে না ইউক্রেন। বন্দরগুলো থেকে নিরাপদে খাদ্য সরবরাহ করার প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন পুতিন। তার এমন ঘোষণার পর খাদ্যপণ্যের দাম কমে এপ্রিলের পর্যায়ে চলে এসেছে।
পুতিন জানান, রপ্তানিতে কোনো বাধা নয় বরং সহায়তা করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বোর্ড অব ট্রেড জানায়, গত শুক্রবার প্রতি বুশেল (২৭ দশমিক ২ কেজি) গম দশ দশমিক ৪ ডলারে বেচাকেনা হয়েছে, যা মে মাসের সর্বোচ্চ মূল্যের চেয়ে দশ শতাংশ কম।
এ সময় পশুখাদ্যের জন্য ভুট্টার দাম কমে বুশেল প্রতি সাত দশমিক ২৭ ডলারে নেমে এসেছে।
গত মাসে বিশ্ব বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম তুলনামূলক বেড়ে যায়। ধারণা করা হয়, রাশিয়ার চলমান হামলায় ইউক্রেন থেকে পণ্য রপ্তানি ব্যাহত হবে।
এর আগে পশ্চিমাদেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে পণ্য সরবরাহ করতে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনে। তবে রাশিয়া জানায়, ইউক্রেনের সেনাদের মাইনের কারণে পণ্য রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়।
বিশ্বের অন্যতম প্রধান গম ও ভুট্টা রপ্তানিকারক ইউক্রেন। যুদ্ধের কারণে কয়েক মাস ধরে দেশটির রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ইউক্রেনে প্রায় আড়াই কোটি টন শস্য আটকে রয়েছে। রুশ আক্রমণে দেশটির বিভিন্ন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেগুলো রপ্তানি করা যাচ্ছে না। ইউক্রেনের বেশিরভাগ পণ্য সমুদ্রবন্দর দিয়ে রপ্তানি করা হতো। তবে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে দেশটি ট্রেনে অথবা তুলনামূলক ছোট দানিউব নদীবন্দর দিয়ে রপ্তানি কার্যক্রম চালাতে বাধ্য হচ্ছে।